নিজস্ব সংবাদদাতা বড় খলা 20 শে জানুয়ারি—— গতকাল মহাজোট হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে লাভ লোকসানের হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে । একদিকে বিজেপির 100+ মিশনের মহড়া শুরু হয়েছে , অন্যদিকে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে, সেই মতো বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে মহাজোট হলো এখন শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা লাভালাভের অঙ্ক নিয়ে ।
আজ বরাক উপত্যকার বেশ কিছু সমষ্টি র সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে , আকারে ইঙ্গিতে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন সমষ্টি তে কাকে দেওয়া হবে সেটা নিয়ে এক স্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে , আর এটা নিয়ে বড্ড বেশি চর্চা শুরু হয়েছে বড় খলা ও কাঠি গড়া সমষ্টি তে ।সূত্রের খবর বড় খলা সমষ্টি র কংগ্রেসের টিকিটের আশায় যে সকল কর্মী বিগত এক বছর ধরে জনসংযোগ করে চলেছেন তাদের সমর্থক গন বেজায় চটেছেন , তাদের দাবী বড় খলা এলাকার যেকোন একজন কংগ্রেস কর্মী কে টিকিট প্রদান করা হোক । জনৈক আবদুল মান্নান আজ এই প্রতিবেদকের কাছে পরিষ্কার বললেন উড়ে এসে জুড়ে বসা প্রার্থী কে কোনভাবেই মেনে নিতে পারবেন তারা তিনি আরও বলেন, যেখানে কংগ্রেসের মূল পুঁজি সংখ্যালঘু ভোটার সেখানে সংখ্যালঘু প্রার্থী কে কংগ্রেস মনোনয়ন দেওয়া উচিত । এদিকে কংগ্রেসের সাথে এ আই ইউ ডি এফ এর জোটের ফায়দা বিজেপি যে লুটবে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে ।
এদিকে কাঠি গড়া তে ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে , চর্চার কেন্দ্রে এসে গেছে মিত্র জোটের প্রার্থী খলিল উদ্দিন কে নিয়ে , এখানে কংগ্রেসের জনৈক কর্মী বললেন কংগ্রেসের মরন কালে বিপরীত বুদ্ধি উদয় হয়েছে, নির্বাচনের পর যদি জোট হতো তাহলে কংগ্রেসের লাভ হতো , তিনি প্রকাশ্যে বললেন এমনিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে অল্প সংখ্যক হিন্দু কর্মী সমর্থকরা আছেন তার উপর যদি এ আই ইউ ডি এফে কে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে এই ভোট গুলো পাওয়া কতটুকু যে সম্ভব হবে তা সময়ই বলবে ।এককথায় জোটের ফল কতটুকু মিটা হবে সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য শুনা যাচ্ছে ।