বিশেষ প্রতিবেদন 1 লা ফেব্রুয়ারি শিলচর— বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিটি ভাষা ভাষী দের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রক্ষায় সরকার যেসব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তা সত্যি প্রশংসনীয় ।সম্প্রতি আসাম সরকার আসামের প্রতিটি ভাষার সাহিত্য সভার উন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন , এবং সেইসাথে সেই ভাষার সাহিত্যিক দের পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন সেটা বর্তমান সরকারের উচ্চ মানসিকতার নিদর্শন বললে অত্যুক্তি হবেনা ।
গতকাল আসামের প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমে সমগ্র আসামের সাহিত্য সভার যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তা দেখে বিস্মিত সমগ্র আসামের বাংলা ভাষী জনসাধারণ ।যেখানে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা বাংলা সেখানে বাংলা সাহিত্য সভা বলে সরকার স্বীকৃত কোন সাহিত্য সভার নাম নেই এর চাইতে বাঙালি প্রীত র উদাহরণ আর কি থাকতে পারে ? বরাক উপত্যকার সাংসদ বিধায়ক , নেতা গন এখন কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকবেন? চাকুরী থেকে বিশেষ করে বরাক উপত্যকার প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন এসব মানতে নারাজ আমাদের সাংসদ বিধায়ক গন , আজকের এই তালিকা দেখে কি বলবেন তার দিকে তাকিয়ে আছেন সমগ্র বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষী জনগন ।
এদিকে জনৈক সচেতন নাগরিক প্রকাশ্যে এই প্রতিবেদকের কাছে একরাশ বিরক্তি নিয়ে বললেন আমাদের বরাক উপত্যকার বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন বলে যে সংগঠন আছে সেটা কি করছে? আরো ও যেসব বাঙালি সংগঠন আছে এই তালিকা নিয়ে কোন মন্তব্য করছেন না কেন?
এই প্রতিবেদক ও জানতেন না যে বাংলা সাহিত্য সভা বলে সরকার স্বীকৃত কোন সাহিত্য সভার অস্তিত্ব নেই, আজ এই তালিকা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন যে এসব দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তবুও বাংলা ভাষী জনসাধারণ তথা সংগঠন সর্বোপরি জনপ্রতি নিধি দের ভূমিকা সম্পর্কে আত্ম সমালোচনা করা আবশ্যক বলে মনে করছেন ।মেকি বাঙালি প্রীতী আর কতদিন চলবে ,