রাজনৈতিক প্রতিবেদন 3 রা ফেব্রুয়ারি— যে রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা বাংলা সেখানে সরকারি ভাবে যখন কোন সাহিত্য সভার অস্তিত্ব নেই সেখানে বাংলা ভাষী গন কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পা চাটা হয়ে থাকার কোন যুক্তি নেই বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষ ক দের ধারনা জন্মেছে । সম্প্রতি বিশেষ করে একাংশ হিন্দু বাঙালি মনে করছেন যে তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প বিজেপি ,ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দল নেই । আসামের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বাংলা ভাষী জনগণের কাছে সব রাজনৈতিক দলই সমান বলে মনে হয়।
সব রাজনৈতিক দলের মোদ্দা কথা আসাম চুক্তি মেনে অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে আর যারা ইতিমধ্যেই আসামে আছেন তাদেরকে আইন মোতাবেক বহিস্কার করতে হবে । অন্যদিকে অসমীয়া ভাষা , কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে সব দল বদ্ধপরিকর । তাহলে যাদের আশ্বাসে গদগদ সে আশা স্বপ্ন জগতে যে বিচরণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।ইদানিং আসাম সরকার কতৃক প্রকাশিত সাহিত্য সভার তালিকা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে সচেতন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে এধরনের একটি ভাষার সাহিত্য কে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার কেন করা হলো ? অনেকেই মত ব্যক্ত করেছেন যে একটা ভাষার সাহিত্য কে স্বীকৃতি না দেওয়া মানে সেই ভাষা ভাষী জনগণের কোন অস্তিত্ব নেই বললেই বুঝায় ।
এখানে উল্লেখ্য যে এটা অবশ্য নূতন করে হয়নি ,সব রাজনৈতিক দলের সরকারের আমলে যেমনটা ছিল এমনটাই হয়েছে , তবে এবার খোলাসা করা হয়েছে । সম্প্রতি আসামে দুই দুইটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে , তাদের এক এজেন্ডা ” CAA বাতিল করে বাংলা দেশী বহিস্কার করা এবং ভূমি পুত্র দের হাতে সব ধরনের অধিকার সাব্যস্ত করা । অবশ্য তাদের দাবি উঠার পূর্বে থেকে শুরু হয়ে গেছে এক বিশেষ ভাষা ভাষী দের কে বঞ্চিত করে সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা । এসব নিয়ে বরাক উপত্যকার বি ডি এফ সহ আমরা বাঙ্গালী সংগঠন গর্জে উঠেছে ।তথাপি বরাক উপত্যকার জনপ্রতি নিধি গন বলছেন ইদানিং যে সব সরকারি চাকরি হয়েছে সব মেধার ভিত্তিতে হয়েছে , বঞ্চিত করার প্রশ্ন উঠতে পারে না ।তাদের দল বাঙালি নিয়ে ভাবে কিন্তু সবাই তো আসাম চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বদ্ধপরিকর সেটাই আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না কেন?
সম্প্রতি আসাম জাতীয় পরিষদের সভাপতি বরাক উপত্যকা সফর করেন ।তাকে ও নিয়ে বেশ মাখামাখি হয়েছে , হাইলা কান্দি জেলায় তাকে বিপুল সংবর্ধনা প্রদান করা হয় , বড় বড় তোর ণ তৈরী করে স্বাগতম জানানো হয় , ভূল কিছু হয়নি এটা ও একটি রাজনৈতিক দল , অন্য দল লুকিয়ে লুকিয়ে বাঙালি বিতাড়িত করার কথা বলে আর এই দল প্রকাশ্যে বলছে অর্থাৎ জাগ্রত রাজনৈতিক দল , তাই অনেকেই এই দলে যোগদান করছেন এই বলে যে অসম গন পরিষদ কে ও দেখেছি এবার এই দলকে দেখি । এককথায় এবার সুবিধার পক্ষে বাংলা ভাষী দের যেতে হবে ।এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে বরাক উপত্যকার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে গড়ে দশ থেকে পনেরো হাজার সদস্য অনলাইনে আবেদন করে সদস্য পদ সংগ্রহ করেছেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক সংবাদদাতা এই বলে মত ব্যক্ত করেছেন যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাগ্রত রাজনৈতিক দলের সাথে যোগসূত্র স্থাপন একান্ত আবশ্যক বিশেষ করে বরাক উপত্যকার , কারন পাশের পার্বত্য রাজ্য গুলিতে অন্তত একটা সুবিধা ভোগ করা যাবে । নীচের এই তোরণ হাইলা কান্দি সফর কালে তৈরী করা হয়েছিলো ,।