নিজস্ব সংবাদদাতা গুয়াহাটি 21 শে ফেব্রুয়ারি– আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মূল ইস্যু যে নাগরিকত্ব বিল হবে তা নিয়ে আর সংশয় নেই ।এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষ ক গন । প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একটাই ইস্যু ” কা না মানো “– নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে তত ই “কা” নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠবে উজান আসাম , তার একটা পরিস্কার আভাস মিলেছে । কোন রাজনৈতিক দল এই ইস্যু হাতছাড়া করতে রাজি নয় , বিজেপি বিরোধী দল গুলো প্রকাশ্যে চলে এসেছে , ইদানিং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এই ইস্যুতে এতটাই সরব হয়েছে যা আগে কখনও দেখা যায় নি , ফলে এক বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোট যে হারাবে তা নিশ্চিত ।
করোনা সংক্রমণের পর থেকে আসাম বিজেপির উপর এক চাপা অসন্তোষের ভাব সৃষ্টি হয়েছিল , বিশাল সংখ্যক বিজেপির সমর্থকেরা কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন , আর তার সিংহ ভাগই হিন্দু বাঙালি ভোটার ছিলেন , কিন্তু সম্প্রতি নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতা এইসব সমর্থকদের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে ।এদিকে কংগ্রেসের নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা ধর্মীয় সংখ্যালঘু দের কে কাছে টেনে নিয়ে এসেছে বললে অত্যুক্তি হবেনা অন্যদিকে হিন্দু বাঙালি ভোট যে হাতছাড়া হবে সে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে । আসলে রাজনৈতিক আসরে একটা ইস্যু সবসময়ই থাকে বিশেষ করে নির্বাচনের সময় ।দীর্ঘদিন ধরে চলছিলো মন্দির মসজিদ ইস্যু , এবার আসাম বিধানসভা নির্বাচনের মূল ইস্যু হবে নাগরিকত্ব বিল , তাই কোন দল যে বাজিমাত করবে সেটা সময়ই বলে দেবে ।এদিকে শাসক দল ও নিশ্চিত নয়, তাই নিত্য নতুন যোজনা ঘোষণা করে ভোটারদের কাছে টানতে চাইছে ,।
এবারের নির্বাচনে রাই জর দল ও আসাম জাতীয় পরিষদ এক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তাই কংগ্রেস বিজেপি দল ও স্বস্তি তে নেই । জোট মহা জোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে ও চলছে টানা পোড়া, এক কথায় একুশের নির্বাচন রাহু গ্রাস করে নিয়েছে ।এখানে উল্লেখ্য যে প্রয়াত মূখ্য মন্ত্রী তরুন গ গৈ 2014 সালের ভোটার তালিকা মতে নাগরিকত্ব প্রদান করার জন্য কেবিনে ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন , আর আজ সেই কংগ্রেস দল নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করার বিষয়ে কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে । তাই তড়িঘড়ি হো জা ই শহরে ভাষি ক সংখ্যালঘু সম্মেলন করে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ,সূত্রের খবর এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের নাম নেই এন আর সি তে সেখানে এই সম্মেলনের আয়োজন কতটুকু সফল হবে তা সময়ে বুঝা যাবে বলে মনে হচ্ছে । ব্রহ্ম পুত্র উপত্যকার প্রায় সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ হিন্দু বাঙালি ভোটার নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে তাই এই সকল ভোটারদের প্রতি সব রাজনৈতিক দলের চোখ নিবন্ধ থাকে ।এবার কিন্তু এই সংখ্যক ভোটারদের ঢল কোনদিকে যে মোড় নেবে সেটা পরিষ্কার নয় বলে সচেতন মহল থেকে আভাস পাওয়া গেছে ।এক কথায় নাগরিকত্ব বিল যে একুশের নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে সেটা আগাম অনুভব করা যাচ্ছে ।