,বিশেষ প্রতিবেদন 28 শে মার্চ শিলচর—- এ যেন নেতার হাট বসেছে , প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তাবড় তাবড় নেতারা বরাক উপত্যকার আনাচে কানাচে ছুটে বেড়াচ্ছেন শুধু ভোট বৈতরণী পার হতে ।একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন , উন্নয়নের নিরিখে ভোট চাইতে এসে ভোটারদের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করে চলেছেন তা পরিলক্ষিত হয়েছে ।
মহাজোটের নির্বাচন সভায় শুধু মোদী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন ডান বামের নেতারা , জনসমুদ্র সদৃশ জনসভা পরখ করার মতো , অন্যদিকে বিজেপির নেতারা মোদীর ঐতিহাসিক পদক্ষেপের বিষয়ে বক্তব্য রেখে চলেছেন , ভারত মাতার জয় দিয়ে হিন্দু দের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করে চলেছেন , সেখানে ও বিশাল জনসমুদ্র সৃষ্টি হচ্ছে ।ভোট বলে কথা , আসন পেতে যে যেমন পারছে টুপি পড়াচ্ছে , সচেতন ভোটার গনের সচেতনতা থাকতেই নেতাদের বক্তব্য শুনে যেন অচেতন হয়ে যাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে ।
আসামের প্রভাবশালী মন্ত্রী বিচক্ষণ হেমন্ত বিশ্ব শর্মা গতকাল বরাক উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন প্রচারে গিয়ে একবারও ডি ভোটার সমস্যা এবং , কা নিয়ে রা করেননি , আর করবেন বা কেন , আজমলের ভয় টা দেখালে যে সব কিছু ম্লান হয়ে যাবে তা বিচক্ষণ হেমন্ত ভালো ভাবে জানেন বলে গতকালের সভা সমাবেশ শেষে এই প্রতিবেদক কে বেশ কিছু বাঙালি সংগঠনের নেতারা এভাবেই তাদের মনের কথা উগরে দিলেন ।তারা আরও বলেন ভোট পর্বের আগেই যে ভাবে বিদেশী ট্রাইবুনাল থেকে নোটিশ পাচ্ছেন হিন্দু বাঙালি গন ভোটের পর দেদার নোটিশ যে আসবে তা নিশ্চিত , এদিকে এন আর সি র কারন দর্শানো র নোটিশ প্রায় তৈরী হয়ে গেছে ভোটের পর থেকে বাড়ি বাড়ি পৌছানোর কথা , তখন আবেগের কথা ভুলে আদালতের যে দ্বারস্থ হতে হবে সে বিষয়ে অবগত কজন আছেন। এমনতর কথা উল্লেখ করেছেন আমরা বাঙ্গালী দলের জনৈক নেতা ।তিনি আরও বলেন ভোট কাকে দিবেন সেটা প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার, কিন্তু নিজের যদি পরিচয় না থাকে সেখানে ভোটের মূল্য থাকবে কি? মহাজোটের এক কথা “কা” বাতিল করব আমাদের ভোট দিন , বিজেপি জোট বলছে “কা” কার্যকর করব । এই অবস্থায় হিন্দু বাঙালি ভোটার গন দ্বন্দ্বে পড়ে গেছেন শুধু মাত্র একটি আশায় নাগরিকত্ব কোন দল দেবে । প্রথম পর্যায়ের ভোট শেষে বরাক উপত্যকার ভোট পর্বের প্রচার জোরকদমে চলছে কিন্তু উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি দের মধ্যে যেন এক উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হচ্ছে এমন আভাস পাওয়া গেছে ।