বিশেষ প্রতিবেদন 10 ই এপ্রিল— ভারতের মধ্যে একমাত্র আসাম রাজ্যে “ডি” ভোটার নামক এক সন্ত্রাস দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা ভাষা ভাষী দের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা নিঃসন্দেহে গনতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে ।ভোট কারা দিতে পারে ,?এক কথায় উত্তর আসবে যারা ভারতীয় নাগরিক কিন্তু আসামের ক্ষেত্রে এই নিয়ম ভারতীয় নির্বাচন কমিশন যে মেনে চলছে না তার অসংখ্য উদাহরণ আছে ।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশন ভারতের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোটার পরিচয়পত্র প্রদান করেছে সেই মতো এই ভোটার আইডি প্রতি জন নাগরিকের ভারতীয় হিসেবে এক প্রমান পত্র , তাই তো এই ভোটার আইডি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন ।কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে একুশের নির্বাচনে নিজের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে পছন্দের প্রার্থী কে ভোট দিলেন আবার দুদিন আগে বিদেশী আদালতের নোটিশ পেয়ে সেখানে ও উপস্থিত হলেন ভারতীয় প্রমান করতে , এসব নিয়ে কথা উঠছে না কেন?
এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে আসামের বিভিন্ন জায়গায় বিগত নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের নামে বিদেশী নোটিশ আসছে , অনেক জায়গায় তাদের না পেয়ে প্রকাশ্যে স্থানে নোটিশ টাঙানো হচ্ছে । এধরনের ভূতুড়ে কাণ্ডের জন্য ভারতীয় নির্বাচন কমিশন দায়ভার এড়িয়ে যেতে পারে না বলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে । প্রশ্ন উঠেছে যদি এসব মানুষ ভারতীয় নাগরিক নন তাহলে নির্বাচন কমিশন কেন তাদের ভোটার আইডি কার্ড দিলো? এসব মানুষ যদি বিদেশী হয় তাদের নাম ভোটার তালিকায় কেন রাখা হয়েছে? তারা তো ভোট দিয়েছে , তাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি গন সরকার ও গঠন করবে , নির্বাচনী বিধি মতে শুধু মাত্র ভারতীয় নাগরিক গন ভোটের অধিকার প্রাপ্ত হন ,এখন দেখা যাচ্ছে ভোটের দিনের আঙুলের কালির দাগ মিটে যেতে না যেতেই অন্যদিকে ভোট গণনা না হতেই তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিদেশী নোটিশ ? এখন প্রশ্ন হচ্ছে যাদের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হবে সেই সরকারের বৈধতা কতটুকু সত্য হবে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি চাইছেন সেই সব ভোটার যাদেরকে নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।
সচেতন মহল ভোটের অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এদিকে যে একাংশ ভোটার যাদের হাতের আঙুলের কালির দাগ মুছে যায়নি তাদের জন্য একবার ভাবুন বলে মন্তব্য করেছেন জনৈক ব্যক্তি ।