বিশেষ প্রতিবেদন 10 ই এপ্রিল শিলচর—– নীচের নোটিশের বয়ান দেখে আজ জনৈক ব্যক্তি আঁতকে উঠে বললেন আর কত কাল দেশ বিভাগের বলি হয়ে আসা হিন্দু বাঙালি নাগরিকত্ব প্রমান করতে আদালতে হাজির হবেন ।তিনি বলেন এবার ভাবা গেছিল সরকার এন আর সি করে একটা সুরাহা করতে যাচ্ছে , সেই মতো সবাই 24-3-1971 এর পূর্বের নথিপত্র দিয়ে যথারীতি আবেদন ও করেছিলেন , শেষ পর্যন্ত কতৃপক্ষ আমাদের আবেদন গ্রহন করেছেন বলে জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । তাতেই দেশ বিভাগের শিকার হিন্দু বাঙালি গন সন্তুষ্ট হয়ে যান ।কিন্তু ডাল মে কুচ কালা হ্যায় সেটা নিয়ে কেউ ভাবেনি বলে আজ তিনি জানান ।
তিনি বললেন তার গ্রামের বাসিন্দা কে বিদেশী আদালতের নোটিশ পাঠানো হয়েছে , এদিকে ভোটার তালিকা তে তার নাম ও আছে যথারীতি এবার ভোট ও দিলেন , ভোটের দু দিন আগে আদালতের দ্বারস্থ হন । বিচিত্র দেশ বিচিত্র আই ন , সুদীর্ঘ 55 বছর আগে এদেশে আসার পর আজ তাকে নাগরিকত্ব প্রমান করতে আদালতে হাজির হতে বলা হয় তার চেয়ে অবাস্তব ঘটনা আর কি থাকতে পারে ।প্রশ্ন উঠেছে আসাম কি ভারতের অঙ্গ রাজ্য নয় , যেখানে জন্ম সূত্রে ভারতীয় নাগরিক অধিকার লাভ করার কথা ভারতের সংবিধানে লেখা আছে সেখানে আসাম রাজ্যে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে , এভাবে আজ এই ভুক্তভোগী ব্যক্তি নোটিশের বয়ান দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন , তিনি বলেন এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে বা যারা আসামে এসেছেন আমরা সবাই তো এই সময়ের নথিপত্র দিয়ে যথারীতি আবেদন করেছি , তাহলে আমাদের কে এভাবেই নোটিশ পাঠানো হবে ।এখানে উল্লেখ্য যে নোটিশে পরিস্কার লেখা আছে আসামে প্রবেশ করার সময় কোন বৈধ কাগজপত্র নেই , তাই আপনাকে সন্দেহ ভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ।উপযুক্ত প্রমান পত্র সহ আদালতে হাজির হতে হবে ।
এই প্রতিবেদক জানিয়েছেন কাঠিগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে এভাবে নোটিশ আসছে , নিরুপায় দেশ বিভাগের শিকার হয়ে আসা সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম উবে গেছে , সাধারণ মানুষ বলছেন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে 1966 এর পর নিজের প্রাণ রক্ষা করতে এই দেশে পাড়ি দিয়েছেন , এখানে এসে ও স্বস্তি বোধ করছেন বিদেশী তকমা এঁটে দেওয়া হচ্ছে , কবে যে পরিত্রাণ পাবেন সেই আশায় বসে আছেন । প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেছেন অসংখ্য ভিটে হারিয়ে আসা মানুষ ।