লক্ষীপুর থেকে অসীম রায় 22 শে এপ্রিল——– দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসা একাংশ উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদী দের সেই একই কথা সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান দেবা নন্দ বড় গোঁ হাই বললেন । কি সেই কথা , অসমীয়া ভাষা না মানলে বরাক উপত্যকা কে পৃথক করে দেওয়া হোক , এই কথা সংবাদ মাধ্যম মারফত প্রকাশিত হয়েছে । এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কে , তিনি তো একজন সরকারী কর্মকর্তা , তাকে এ কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে । তার এই অ সাংবিধানিক কথায় বাংলা ভাষী সংগঠন গুলো গর্জে ওঠে তীব্র আপত্তি তুলেছে ।
বরাক বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য গতকাল বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন সম্মিলনীর লক্ষীপুর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হয় । ত্রিদিবেশ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন শিলচর থেকে আগত বি ডি এফ সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় , ঋষি কেশ দে সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে কার্তিক রায় , পুলক দাস, অসীম পাল, চন্দ্র শেখর আচার্য , বিজন পাল প্রমুখ । একে একে সবাই তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন সেই স্বাধীনতার পর থেকেই আসামের সব রাজনৈতিক দলই বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে আসছে, প্রতিটি বিষয়ে বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ করা হচ্ছে , তবু ও বরাক উপত্যকার মানুষের হুশ ফিরছে না , নেতা মন্ত্রী দের কোন হেলদোল নেই । সম্প্রতি একজন আধিকারিক যেভাবে নেতা সুলভ ভঙ্গিতে বরাক উপত্যকা কে পৃথক করার কথা বললেন সেটা নিয়ে বি ডি এফ সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন । সভায় আগামী 26 শে এপ্রিল শিলচর যৌথ মঞ্চ আহুত বরাক বন্ধ কে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সভায় বাপ্পা সেন কে মূখ্য আহ্বায়ক মনোনীত করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি অধিকার রক্ষা কমিটি গঠন করা হয় ।
এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমান সরকারের মূখ্য মন্ত্রী মুখে যতই বরাক ব্রহ্ম পুত্রের সমন্বয়ের বলেন না কেন বাস্তবে যে তার মিল নেই সে কথা ধীর গতিতে হলেও বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষী গন বুঝতে পেরেছেন বলে অনুমান করা যাচ্ছে ।