কোচবিহার থেকে হারান মণ্ডল 7 ই মে—– সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ফলাফল যে এভাবে এগিয়ে যাবে অন্তত এবার ভাবা যায় নি ।কারণ মোদীর শাসনে কিছুটা হলেও এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা বেড়ে গেছিল । এক সময় বামেদের দখলে ছিল পশ্চিমবঙ্গ , অতিরিক্ত ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গিয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার সচেষ্ট ছিল ।দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট সরকার গায়ের জোরে শাসন কায়েম করত , সেটা থেকে পরিত্রাণ পেতে পশ্চিমবঙ্গে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল দল গড়ে উঠেছিল , এবার নিয়ে তিনবারের জন্য মূখ্য মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ।
দীর্ঘদিন পর মমতার আসল চেহারা বের হয়ে আসতে দেরি হয় নি , তিনি ও বামেদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতির পাশার গুটি যে এভাবে ধর্ম নিরপেক্ষতা র দোহাই দিয়ে সাজিয়ে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ কে ইসলামিক রাজ্য বানাতে চলেছেন সেটা বোধগম্য হতে অল্প দেরি হলেও এবার আমজনতা বিকল্প হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে ঝোঁকে গেছিলেন সেটা আঁচ করতে পেরে তৃণমূল তাদের নির্বাচনী পলিসি পালটে দেয় ।বামেদের মতো নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু দের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করে তাদের দখলে থাকা ও অন্যান্য কিছু কেন্দ্রে জয় হাসিল করে নেয় । এদিকে ভোট গণনা কেন্দ্রে ও মমতা ব্যানার্জি আসল খেলা খেলেছেন , বিজেপি মোটেই টের পায় নি । ফলে জয়ী হতে সময় লাগেনি তৃণমূল প্রার্থী দের ।
এদিকে রাজা দের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে , সবাই নবান্ন তে চলে গেছে , কিন্তু , ভোটার ও সমর্থকরা তো নিজের এলাকায় রয়ে গেছে , তারা কেন যে সন্ত্রাস শুরু করেছে এবং কারা ইন্ধন যোগাচ্ছে সে বিষয়ে আত্ম সমালোচনা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে বলে সচেতন নাগরিকের মন্তব্য আসছে । বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে একটা চর্চা শুনা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জয় নিয়ে বাংলাদেশে এত আনন্দ এটা কিসের ইঙ্গিত । নির্বাচন হলো ভারতে আর। বাংলাদেশের একাংশ মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ করছে সেটা ও ভাববার বিষয় । বর্তমানে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার হাজার হাজার মানুষ পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসামে পালিয়ে এসেছে , প্রানের ভয়ে হলদিয়া, হাওড়া সহ বিভিন্ন এলাকার বিজেপি সমর্থক গন আজ ঘর ছাড়া । এভাবে চলতে থাকলে আর বেশি দিন নয় পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক রাষ্ট্র হবে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ ।