বিশেষ প্রতিবেদন 13 ই মে শিলচর– COVID 19– ছিয়াত্তরের মনমন্তরে র কথা মনে করিয়ে দিলো বলে সুশীল সমাজ বলছেন ।সমগ্র বিশ্বের কাছে এক আতঙ্ক বলে বিবেচিত হচ্ছে মহামারী আকারে ধারন করা করোনা ভাইরাস নামক সংক্রামক রোগ টি । সরকার এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধিতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে । এবারের দ্বিতীয় দফায় যে করোনা সংক্রমণের ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে সেটা চিকিৎসক দের ভাবিয়ে তুলেছে , নূতন রূপে এসে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে । এত নিষ্ঠুর এত অস্পৃশ্য যে মৃতদেহ পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারে না নিজের রক্ত সম্পর্কিত নিজ পরিবারের লোকজন । এরচেয়ে আপসোস আর কি থাকতে পারে ।
কেন্দ্র সরকারের তরফে যে সব পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট বলে সমগ্র বিশ্ব নেতৃত্ব অকপটে স্বীকার করছেন ।প্রতিটি রাজ্য সরকার ও করোনা সংক্রমণের হাত থেকে জনগণ কে রক্ষা করতে ব্যাপক কার্য সূচী হাতে নিয়েছে । টিকা প্রদান কার্য সূচী হাতে নেওয়া হয়েছে তার সাথে জনগণ কে রক্ষা করতে। নিত্য নতুন নিয়ম নির্দেশিকা জারি করছেন ।জনসাধারণ ও তা মেনে নিয়েছেন ।কিন্তু বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই বিশেষ করে গ্রামে এমন এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় যার ফলশ্রুতিতে গরীব মেহনতি মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে তটস্থ হয়ে পড়েছেন ,, সবাই আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারছেন না ,মোবাইলের মাধ্যমে সমগ্র দেশের খবর মূহুর্তে পেয়ে যাচ্ছেন , দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে যে যেমন পারছে তেমনি গুজব ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে ফলে রোগের আক্রমনের চাইতে সাধারণ মানুষ যারা সবদিক দিয়েই দূর্বল তারা শিকার হচ্ছেন সেই তিল কে তাল করা গুজবে ।
আজকের দিনে দেখা গেছে করোনা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করে চললে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে যে পড়তে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । সাধারণ মানুষের অভিমত , এভাবেই চলতে থাকলে রুজি রুটি রোজগার মিলবে না , আমরা কি করব? এভাবেই আজ জনৈক ব্যক্তি তাঁর মনের কথা প্রকাশ করেছেন । তিনি সরকারের নীতি নির্দেশিকা মেনে চলাচল করতে রাজি , কিন্তু যেভাবে গুজব ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন সহ মৃত্যুর হিসাব নিয়ে সেটা নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন । এক কথায় বর্তমানে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই এক অজানা আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায় যে আজ ঐখানে এত জন মারা গেছে , কিন্তু হিসাব টা যে গোলমেলে তা সরাসরি জানা যায় সরকারের ঘোষিত তথ্যের উপর , কিন্তু এর আগেই গুজবে ছয়লাপ হয়ে যায় ।যেমন আজকের নতুন SOP তে পরিস্কার বলা হয়েছে গ্রামের দোকান দুই টায় বন্ধ করতে আর নৈশ কার্ফু আগের মতো ছয়টা ।কিন্তু এটাকে শহরের সাথে জুড়ে দিয়ে গুজবে ছয়লাপ করা হয়েছে ।আরেক সূত্রে জানা গেছে গন্ধ ও স্বাদ না পাওয়া গেলে করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষা করে দেখা উচিত , পজিটিভ না নেগেটিভ , এমন একটি ঘটনা, আজ জানা গেছে জনৈক খাদ্য রসিক শিক্ষক সি দল চাটনি না হলে পাতে বসেন না , আজ ভাত খেতে বসে লবন বিহীন চাটনি খেয়ে ল বনের স্বাদ পান নি , ফলে মনে সন্দেহ জাগে যে স্বাদ যখন মেলেনি নিশ্চয় করোনা হয়ে গেছে , ভাত না খেয়ে উঠে গেলেন , বিকেলে শরীরে তাপ মাত্রা বেড়ে যায় ।নিশ্চুপ মাষ্টার মশাই , তা দেখে গৃহিণী সুস্বাদু তরকারি ঝাল ঝুলে তৈরি করে পাতে দিয়ে বললেন খেতে বসতে , এবার কিন্তু ঝাল পেলেন , মনের সন্দেহ কাটতেই শরীরের জ্বর ভাব কেটে গেল । পরে জানলেন সকাল বেলার চাটনি তে আদৌ লবন পড়ে নি ,এভাবেই অনেক কে সন্দেহের কারণে ভেঙে পড়তে দেখা যায় । কিন্তু এর মধ্যে সমাজে চাউর হয়ে গেছে মাষ্টার মশাই করোনা সংক্রমণের শিকার ।