DIGITAL

June 9, 2023

APTCE 18538973148

প্রতীক হা জেলার কথা কি ঠিক হতে চলেছে? চূড়ান্ত বলে খসড়া কে চালিয়ে দেওয়া হলো ?

বিশেষ প্রতিবেদন 20 শে মে——- 2016 ইংরেজিতে তৎকালীন এন আর সি র রাজ্য সমন্বয় ক প্রতীক হা জেলা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন 1966 ইংরেজি র পর  যারা  আসামে এসেছেন তাদের নাম এন আর সি তে  উঠবে না শুধু মাত্র যারা এফ আর ও  তে নথিভুক্ত হয়েছেন তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাবে ।তখন থেকেই এই প্রতিবেদক এই ব্যাপারে অনেক লেখালেখি করেছেন ,কিন্তু বিভাজনের রাজনীতিতে শিকার বাঙালির কাছে এটা জলভাত মনে হয়েছিলো । সম্পূর্ণ ভাবে এন আর সি পদ্ধতি নিয়ে বাংলা ভাষী গন দ্বিমত পোষণ করতে দেখা গেছে ।  ভাষী ক সংখ্যালঘু গন ভেবেছিলেন হিন্দু বাঙালি দের জন্য মোদী আছেন , আর ধর্মীয় সংখ্যালঘু গন ভেবেছিলেন আমাদের কাছে আছে  স্বাধীনতার পূর্বের জমির দলিল । দুই মেরু তে থাকা বাঙালির কাছে আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, নেতা  মন্ত্রীর অভাব নেই , কিন্তু তাদের  অজ্ঞতা র  মাশুল গুনতে হবে আজ  আমজনতার ।

Cutt of Date  24-3-1971 এই রহস্যের ভেদ না করাটাই কাল হয়েছে । এন আর সি তৈরির বিধি নিয়ম তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মহাশয়ের তত্বাবধানে অভিজিৎ শর্মা ও আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্যের পরামর্শ মতো যে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । আজ  পুনরায় যাচাই করার কথা উঠতেই যে রাজনৈতিক দল গর্জে উঠতে দেখা গেলো , সেই দলের প্রধান 2019 ইংরেজিতে বলেছিলেন মহামান্য আদালতের রায় তার দল মেনে নিয়েছে এবং 24-3-1971 এর পরে আসা সবাইকে বহিস্কার করতে তার দলের কোন আপত্তি নেই । কিন্তু 24-3-1971 এর পূর্বের নথিপত্র দিয়ে যারা আবেদন করেছেন  অর্থাৎ 1-1-1966 –24-3-1971 পর্যন্ত এই সময়ের নাগরিক দের কি হবে সেটা কি একবারও মনে করেছিলেন?  এখন আর কিছু করার নেই মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আগে থেকেই আইন করে রেখেছে এন আর সি আপডেট প্রক্রিয়া নিয়ে কোন ধরনের মামলা রুজু করা যাবেনা , রাজ্য সমন্বয় কে সকল অধিকার প্রদান করা হয়েছে ।সূত্রের খবর পূর্ব তন  রাজ্য সমন্বয় কে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল পরবর্তীতে প্রতীক হা জেলা কে বদলী করা হয়েছে ।

এখানে উল্লেখ করা  প্রয়োজন ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময় হা জেলা সাহেব বলেছিলেন আমি যতটুকু কাজ করেছি তা সম্পূর্ণ আইন মোতাবেক করেছি ,যেদিন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে রাজ্য বাসী সেদিন বুঝতে পারবেন আমি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই কর্তব্য সম্পাদন  করেছি 25%  তখ ন  এক বারেই সম্পন্ন।  করা হয়েছে। । তখনকার  সময়ে অসমীয়া টিভি চ্যানেল গুলোতে বলা হয়েছে আনুমানিক এক কোটির বেশি মানুষের নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাবে না ।আর এটাই যে হবে তার কুচকাওয়াজ শুরু হয়েছে ,19 লাখ নাম ছুটে র কথা যে  আগে প্রকাশ করা হয়েছে সেটা  এক ধাপ , পরের ধাপে 72 লাখে পৌঁছে গেছে এরপরে ও আবার নূতন করে  27 %  যাচাই  করার আবেদন করা হয়েছে । কেউই কিছু করতে পারবে না আইনের  কাছে বন্দী হয়ে গেছি আমরা সবাই ।।

এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক , এন আর সি আপডেট প্রক্রিয়া  আসাম চুক্তির ভিত্তিতে উন্নীত করা নিয়ে আসামের সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী দের সহমত ছিল , এখন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটা বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে চলেছে । সেটা নিয়ে হৈচৈ করে লাভ নেই , যা হবার হয়ে গেছে , ধিক্কার তাদেরকে যারা বলেছিলেন একজন ভারতীয় জনগণের নাম কর্তন করা হবেনা , বাস্তবে আসাম চুক্তি মতে কাদের ভারতীয় বলা হয়েছে সেই সম্পর্কে তথা Cut of date  এর অর্থ অবগত ছিলেন না বলে অতি শীঘ্রই নিজ ভূমি তে বিদেশী বলে চিহ্নিত হবেন । ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে বলে সচেতন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ।