নিজস্ব সংবাদদাতা 29 শে মে শিলচর—- শিলচর শহরের পরিসর যতই বাড়ছে ততই শিলচর শহরের একমাত্র স্বর্গ দ্বার শিলচর শ্মশানে শবের সংখ্যা ও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে , এমনিতেই গড়ে সাত থেকে আটটা শব দাহ করা হয়ে থাকে প্রতিদিন , ঐটা নিয়ে ও এলাকাবাসীর নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে , প্রতিকূল আবহাওয়ার সময় শ্মশান সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা নাক চেপে ধরে বাস করেন ।
ইদানিং গোদের উপর বিষ ফুডার মতো মেডিক্যাল কলেজের করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয়েছে এমন সব মৃতদেহ যে গুলো গ্রামীন এলাকার সে গুলো ও দাহ করার জন্য এই শ্মশানে নিয়ে আসা হয় ফলে শবের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে ।আর যেহেতু করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয়েছে তাই মৃতের পরিবারের সদস্যরা হাত গুটিয়ে বসে থাকেন , চণ্ডাল গন শব দাহ করেন ।এমতাবস্থায় কার্ফু চলাকালীন সময়ে শহরের মাতাল গন এই স্বর্গ দ্বারে এসে আগাম স্বর্গে যেতে এখানে এসে মদের আসর বসায় , তাদের কাছে এই স্বর্গ দ্বার নিরাপদ কারন এখানে কোন প্রতিবন্ধক তার সৃষ্টি হবে না , তাই বেশ কিছু দিন ধরেই এই এলাকায় স্থানীয় দের সাথে বাইরের মাতাল রা ভীড় জমান ফলে এই শ্মশান এলাকা জুড়ে চলে চিৎকার চেঁচামেচি , ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এই শ্মশান রোড এলাকার বাসিন্দা গন চুপ করে থাকলে ও গত দুই দিন থেকে সহ্যের ধৈর্য চ্যুতি হয়েছে ফলে গতকাল বিকেলে এলাকার বাসিন্দারা দলবদ্ধ ভাবে তাড়া করেন মাতল দের, ফলে অনেক মাতাল তাদের গাড়ি বাইক রেখে পালাতে দেখা যায়।
সহানুভূতি থাকা সত্ত্বেও গতকাল শ্মশান রোড এলাকার বাসিন্দারা এই প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এইমসের বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত ব্যক্তির চব্বিশ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে সেটা থেকে ভাইরাস ছড়ায় না , অবশ্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে শব দাহ ও কবর দেওয়া যাবে তথাপি সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে , তাই মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এমন শব দেহ গ্রাম এলাকায় দাহ করা সম্ভব হচ্ছে না , এসব মৃতদেহ এই শ্মশানে নিয়ে আসা হয় ফলে এলাকায় তীব্র আপত্তি উঠেছে , এদিকে কার্ফু চলাকালীন সময়ে মাতাল রা কোথা থেকে মদ পায় এবং কিভাবে এই পবিত্র শ্মশানে আসে তা নিয়ে সচেতন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে ।নবাগত পুলিশ সুপার এই ব্যাপারে আশু ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা ।