বিশেষ প্রতিবেদন 26 শে জুন শিলচর—– এ ভুবনে কেহ মরিতে চায়না , প্রথম দিকে করোনা ভ্যাকসিন নিতে কিছু নাক ছিটকিনি দেখা গেছে, অনেক গুজবে ছয়লাপ হয়ে গেছে, ফলে কাউকে এমন গা লাগাতে দেখা যায় নি ।কিন্তু সময় গড়িয়ে আসতে এবং সরকারের তীব্র চাপে সর্বোপরি মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি হতে দেখে সবাই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন ।
বরাক উপত্যকার প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির স্থাপন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে , কিন্তু যেভাবে ভোর থেকে আবাল বৃদ্ধ বনিতা জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও শিবির গুলো তে ভিড় জমান তা রীতিমতো উদ্বেগজনক , এখানে কোনো প্রটোকল মানা যে হয় না তা পরিলক্ষিত হয়েছে । 37 ডিগ্রি প্রখর রোদে পুড়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যখন কতৃপক্ষ বলেন যে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা সৃষ্টি হবে, যেমনটা গতকাল শিলচরের এক শিবিরে হয়েছে । আমাদের সংবাদদাতা গন বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শিবির পরিদর্শন করে জানিয়েছেন যে সরকার কোটি টাকা খরচ করে এই করোনা সংক্রমণের হাত থেকে জনগণ কে রক্ষা করতে ব্যাপক কার্য সূচী হাতে নিয়েছে , শিবির স্থাপনের জন্য বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে , কিন্তু দেখা গেল শিবির গুলো তে বসার ব্যবস্থাও ও নেই অনেক জায়গায় পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই , তার মধ্যে অনলাইন অফ লাইন এর দোহাই দিয়ে একাংশ কর্মী অর্থ রোজগার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।
এই অব্যবস্থা দূর করতে কতৃপক্ষ যদি প্রতিদিন কোন কেন্দ্রে বা শিবিরে কতটা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে দিলে কোন সমস্যা থাকবে না বলে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের তরফে মত প্রকাশ করা হচ্ছে ।এই কদিন যে সব শিবির স্থাপন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে তিন শতাধিক মানুষ এসেছেন কিন্তু ভ্যাকসিন এসেছে অর্ধেকের কম , এমন অবস্থায় প্রায় শিবির গুলো তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় , তাই সচেতন মহল থেকে দাবি উঠেছে জেলা শাসক এই অসঙ্গতি দূর করতে কোন কেন্দ্রে কতটা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে দিলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা দূর হবে বলে