বিজয় দাস রাজনৈতিক সংবাদদাতা 27 শে জুন শিলচর——- ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের কোটি কোটি টাকার অপচয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে যতটুকু সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তার সিকি ভাগ মোদীর বৈদেশিক নীতি নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় নি যেমন সংবাদ মাধ্যমের, ঠিক তেমনি বিরোধী দলের ।
গম্ভীর স্বভাবের, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন , সামান্য হাসি মুখের, সত্যিকারের এক দেশ প্রেমিক প্রধান মন্ত্রী প্রথম থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর শুরু করে দ্বিতীয় বারের মতো ভারতের প্রধান মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে আবারও বিদেশ ভ্রমন করে বহিঃ বিশ্বে ভারতের স্থান কে উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন ।কেন এবং কি উদ্দেশ্য ছিল তার বারবার বিদেশ ভ্রমণের ? তা ছিল একান্ত ব্যক্তিগত ও গোপনীয় ।অবশ্য এক একটি সফরে প্রচুর ধন রাশি ব্যয় যে হতো তা অস্বীকার করার উপায় নেই , কিন্তু সেই ব্যয় টা বিশ্বের অদ্বিতীয় বৈদেশিক নীতি কে যথার্থ ব্যবহার করে ভারত আজ অজাতশত্রু হয়ে গেছে বললে কম বলা হবে এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল ।
ভারতের জাত শত্রু পাকিস্তান কে বিনা যুদ্ধে পঙ্গু করতে ভারতের বৈদেশিক নীতির মাধ্যমে বিশ্বের মুসলিম দেশের আতুর ঘর সৌদি আরব কে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অন্যান্য মুসলিম দেশের সাথে ঘনিষ্ঠতা স্থাপন করে কোন ঠাসা করার পরিকল্পনা করেছিলেন অন্যদিকে চীনের সাথে ও অল্প বেশি মিত্রতা স্থাপন করে পাকিস্তান কে বর্তমানে পথের ফকির বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ,370 ধারা ও 35A রদ করে পাকিস্তান কে চরম হুশিয়ারি প্রদর্শন করে ভবিষ্যতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর কে দখল করে নেওয়ার জাল বুনে ফেলেছেন ।আমেরিকা সফর করে দীর্ঘদিনের আমেরিকার সাথে পাকিস্তান ও আফগানী স্থানের যে চুক্তি ছিল তা ছেদ করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরিয়ে ভারতের প্রভূত উন্নতি করতে চেয়েছিলেন , হয়েছে ও ।
সমগ্র বিশ্বের দেশ কে ভারতে লগ্নি করতে এবং বিশ্ব বাজারে ভারতের বাণিজ্য প্রসারিত করতে বিশ্বের শক্তি ধর দেশ যেমন আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান , ব্রিটেনের মতো দেশের নেতাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করে ভারত কে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যা ইতিহাস বললে ও অত্যুক্তি হবে ।যার ফলশ্রুতিতে ভারত SAARC SUMMIT থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে ।এদিকে চিন বেশ বাড়াবাড়ি শুরু করলে বিচক্ষণ প্রধান মন্ত্রী শত্রুর শত্রু আমার মিত্র নীতির মাধ্যমে ভিয়েতনামের সাথে যোগাযোগ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে ভিয়েতনামের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত করে পূর্ণ সমর্থন প্রদান করা হয় ফলে ভিয়েতনাম বিবদমান এলাকা থেকে তৈল উৎপাদন শুরু করে । চুক্তি মেনে ভিয়েতনাম তাদের উৎপাদিত তেল ভারত কে দিতে শুরু করে , ভারতের কূটনৈতিক চালের জবাব চীন বুঝতে পারে নি । এমতাবস্থায় চীন যদি কোন দিন ভিয়েতনামের এই বিবদমান জায়গা চেয়ে বসে তাহলে ভারত বিনিময়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে চেয়ে বসবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না ।
বর্তমানে ভারত ইরানের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আফগানী স্থানের পাশ দিয়ে রাস্তা তৈরি করে সমগ্র বিশ্ব কে তাক লাগিয়ে দিয়েছে । সব মিলিয়ে একটা আভাস পাওয়া গেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শত্রু অনেক দেশ আছে , কিন্তু ভারতের একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া আর এমন কোন শত্রু দেশ নেই , আর পাকিস্তান বর্তমানে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যুদ্ধ করলে ও ভারতের এমন কিছু করতে পারবে না বরং উল্টো পাকিস্তানের ক্ষতি সাধন হবে । পরিশেষে বলতে হবে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও ভারতের বৈদেশিক নীতির এবং প্রধান মন্ত্রীর প্রশংসা করতে হয় ।একদিন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ হবে বলে বিশ্ব কূটনৈতিক স্তরে আলোচিত হচ্ছে ।