ইউসুফ আলী বড় ভূঁইয়া শিলচর 26 শে জুলাই—- অবসর প্রাপ্ত আসাম পুলিশের উপ পরিদর্শক নুরুল হক বড় ভূঁইয়া কি একবারও ভেবেছিলেন যে তার নিজের দুই পুত্র এধরনের আচরণ করতে পারে? চাকুরী জীবনে অনেক কষ্টে নিজের দুই পুত্র কে লেখাপড়া শিখিয়ে নিজের বিভাগে চাকরি পাইয়ে দেন, কিন্তু নিয়তি র নিষ্ঠুর পরিহাস আজ সেই দুই ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন নিজে ।
সূত্রের মতে নুরুল হক বড় ভূঁইয়া বিগত 2009 ইংরেজি তে চাকরি থেকে অবসর নেন, তার দুই ছেলে বড় ছেলে রু কন আহমেদ 21 IR Battalion এ চাকরি করে এবং ছোট ছেলে রোশন আহমেদ 6th AP Battalion এ চাকরি করে , তাদের মা মারা যাওয়ার পর অবসর প্রাপ্ত বাবা নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন , একাকীত্ব কাটাতে নিজের এক বিবাহিত মেয়ে কে নিজের কাছে রেখেছেন , মেয়ে জামাই নিয়মিত টাকা পাঠায়, এদিকে বড় মেয়ে ও তাঁর বাড়ির নিকটে থাকে সময়ে সময়ে সেই মেয়েটি ও বাবা কে দেখাশোনা করে ।কিন্তু এসব দুই ছেলের সহ্য হয় না , তাই নিয়মিত বৃদ্ধ পিতা কে মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে , বিগত ঈদের আগের দিন এই দুই ছেলে তাদের বৃদ্ধ পিতার গায়ে হাত তুলেছে, নিরুপায় হয়ে নুরুল হক বড় ভূঁইয়া দুই মেয়েকে নিয়ে শিলচর সদর থানার অধীনস্থ রাঙ্গীর খাডি পুলিশ ফাঁড়ি তে। এক মামলা দায়ের করেন ।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে সময় মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছে চাকরী জিবি পুত্র নিজের মা বাবার ভরন পোষন দিতে হবে সেখানে দুই চাকরি জীবি পুত্র উল্টো নিজের বৃদ্ধ বাবা কে মানসিক ভাবে অত্যাচার করে অসুস্থ করে তুলেছে সেখানে আইনের রক্ষক নীরব দর্শক হিসেবে বসে আছে , মামলা দায়ের করার পর ও দুই ছেলের কমাণ্ডার কে রিপোর্ট না পাঠানোর জন্য সচেতন মহল আলোচনা করছেন ।এদিকে বাধ্য হয়ে বিচারের জন্য সংবাদ মাধ্যম মারফত ডি আই জি দক্ষিণ আসাম সংমণ্ডল , ও 21 IR ও 6th Ap Battalion এর কমাণ্ডার মহাশয় গনের কাছে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন ।অবিলম্বে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে সাধারণ মানুষ দাবি জানিয়েছেন ।