বিশেষ প্রতিবেদন 1 লা আগস্ট—- সূত্রের মতে আসামের জমি নাগা ল্যান্ড মোট 4,44,684 বিঘা , অরুণাচল 1,59,538 বিঘা, মেঘালয় 11 392 বিঘা, মিজোরাম 11, 481 বিঘা, ত্রিপুরা 187 বিঘা দখল করে রেখেছে, এই সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসাম সীমান্ত অঞ্চল । গত ছাব্বিশ জুলাই আসাম মিজোরাম সীমান্তে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা রীতিমতো অবাক করার মতো , দুই রাজ্যের পুলিশ যে এক যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে গুলি বর্ষণ করেছে তা সংবিধানের পরিপন্থী ।যার ফলে আসাম হারালো ছয় জোয়ান ।
বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি হারান দে মনে করেন আন্তঃ রাজ্য সীমান্ত বিষয় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্র সরকার যদি নেন তাহলে উত্তর পূর্বের আন্তঃ রাজ্য সীমান্ত বিবাদ সমাধান সম্ভব হবে , এই বিষয়ে হারান বাবু টুইটার যোগে ভারতের প্রধান মন্ত্রী কে অবগত করেছেন । বর্তমানে মিজোরাম সরকার লায়লা পুর বাজার পর্যন্ত তাদের সীমা যে দাবি করছে সে ব্যাপারে এমন এক তথ্য এসেছে যা কিনা অবাক করার মতো এবং কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির জন্য বলে চিহ্নিত হয়েছে । সূত্রের খবর 2011 ইংরেজি তে কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রক সীমান্ত সড়ক উন্নয়ন সংস্থা কে 54 নং জাতীয় সড়কের লায়লা পুর গেইট থেকে শিলচর পর্যন্ত এলাকা আসাম পূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ প্রদান করে , কিন্তু তখন সীমান্ত সড়ক উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে মিজোরাম সরকার এক বোঝাবুঝি র মাধ্যমে লায়লা পুর গেইট থেকে লায়লা পুর বাজার পর্যন্ত মিজোরাম সরকারের কাছে সমজে দেয় , এব্যাপারে প্রাক্তন পূর্ত আধিকারিক মলয় দেব বলেন তখন এব্যাপারে কোন ধরনের প্রসঙ্গ রাজ্য সরকার যেমন কেন্দ্র সরকার ও তুলে নি, ফলে কি হলো লায়লা পুর বাজার পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে তাদের জমি বলে প্রমাণ করে নিলো ।বর্তমানে ব্যাপারটা আদালতে গড়ালে ও এই এলাকা যে মিজোরামের তা প্রমাণ হয়ে যাবে ।আসাম সরকার এব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে নিজ ভূমি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে , এদিকে সীমান্ত সড়ক উন্নয়ন সংস্থার সেই সময়ের আধিকারিক দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করার জন্য দাবি উঠেছে ।