বিশেষ প্রতিবেদন 3 রা আগস্ট শিলচর—- সরকার যতই বলুক না কেন গ্রাম উন্নয়নের কথা, তা যে বাস্তবে রূপ নিতে ছে না তা দেখার দায়িত্ব পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের । পঞ্চায়েত বিভাগ গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে গ্রাম সভা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা থাকলেও তাতে ও ব্যাপকভাবে যে দূর্নীতি তা অজানা নয় ।
গত 2 রা আগস্ট বড় খলা উন্নয়ন খণ্ডের দুধ পাতিল পঞ্চায়েতে এক বিশেষ গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েত সচিবের অনুপস্থিতে ।গাইড লাইন মতে গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত করার ন্যুনতম চব্বিশ ঘণ্টা পূর্বে মাইক যোগে প্রচার করে গ্রামের মানুষ কে অবগত করতে হয় তা কিন্তু করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের বাসিন্দা গন ।সেদিন পঞ্চায়েত সচিবের অনুপস্থিতে সভার কাজ পরিচালনা করেন ট্যাক্স কালেক্টর , যা কিনা সম্পূর্ণ বে আইনি , পঞ্চায়েত সচিব সরকারের প্রতিনিধি , পঞ্চায়েত সভানেত্রী কিছু নন , যাই হোক সেদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সভানেত্রী আনোয়ারা বেগম, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য রতন মালাকার ও তিন জন ওয়ার্ড মেম্বার , বাকি সাত জন সদস্য এই সভা নিয়ে কোন কিছু জানেন না এমনটা জানা গেছে ।সভায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে , উপস্থিত জনৈক বিপ্লব মালাকার সভানেত্রী কে বলেন যে সচিব বিহীন গ্রাম সভা কেমন করে হয় , আমাদের অনেক কিছু জানার আছে, এই কথা শুনে ট্যাক্স কালেক্টর সচিব কে ফোন করে জানান, সচিব তখন সভা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন এবং অভিযোগ কারী দের নাম জানাতে বলেন , তিনি বিপ্লব মালাকার ও আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য রতন মালাকার কে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন বলে হুমকি দেন , এব্যাপারে রতন বাবু কে ফোন করলে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন ।এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক সচিব আবদুল রহমান লস্কর বিগত ছয় মাস ধরে এই জিপি তে আসেন না, ফলে সাধারণ মানুষের বিরাট অসুবিধা হয় । এব্যাপারে বড় খলা উন্নয়ন খণ্ডের বি ডি ও এবং স্থানীয় বিধায়ক মহাশয়ের নজরে আনার পর ও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ।