নিজস্ব সংবাদদাতা কাঠিগড়া 10 ই আগস্ট— কালা ইন উন্নয়ন খণ্ডের অধীনস্থ সে উত্তি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সে উত্তি প্রথম খণ্ডের জনৈক শ্যাম লাল তাঁতীর নামে বিগত 2019 ইংরেজি তে একটি প্রধান মন্ত্রী আবাস মঞ্জুর হয় (AS 1271163 shyamlal Tanto AS 23022/4/585 dt. 02-08-2019 ) মোট এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা ব্যয়ে আবাস গৃহ নির্মাণের জন্য যথারীতি জি আর এস সরজমিনে এসে ফটো তুলে নিয়ে যান ।
এরপর এত টাকার প্রকল্প দেখে শুরু হয় চক্রান্ত, জনৈক নিমা র আলী নাকি এই ঘর নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছেন বলে সচিব শ্যাম লাল কে বলেন, সচিব বারবার বলেন যে নিমা র আলী নাকি জায়গার মালিক তারসাথে বোঝাপড়া করে নিতে , এভাবেই দুবছর ধরে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্যাম লাল , তিনি বলেন তার কাছে অর্থ দাবি করে ব্যর্থ হয়ে যত সচিব এই জিপি তে এসেছেন সবাই এক কথা বলেন য়ে তুমি নিমা র আলীর সাথে দেখা করে আপোষ করে নাও ।সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের দ্বারস্থ হন শ্যাম লাল , তিনি দেখালেন তার নামে রায়তের খতিয়ান আছে, তিনি বছর বছর এই জোত জমির খাজনা আদায় করে আসছেন , তার কাছে সার্কেল অফিসারের Occupation certificate আছে , মজার ব্যাপার হলো তার কাছে যে খতিয়ান আছে সেখানে জমিদার হিসেবে যার নাম আছে তারা কিন্তু কোন আপত্তি দেয় নাই, বিরাট কারসাজি করে নিমা র আলী কে দিয়ে আপত্তি দেওয়া হয়েছে , এই জমিতে নিমা র আলীর আপত্তি দেওয়ার কোন অধিকার নেই ।
এই প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে জেনেছেন প্রধান মন্ত্রী আবাস গৃহ পেতে হলে আধার কার্ডে নাম থাকতে হবে, বিপিএল তালিকায় নাম থাকতে হবে , সরকারি বন্দোবস্ত জমি বা ভাড়া জমি হলে ও ঘর তৈরি করা যাবে । কিন্তু বর্তমান সচিব সার্কেল অফিসার কতৃক প্রদেয় Occupation certificate মানতে নারাজ, তিনি জমির দলিল চাইছেন তিনি ও বলেন যে জমির মালিকদের সাথে বোঝাপড়া করতে , কিন্তু সচিব , আপত্তি জানিয়েছে কে সে ব্যাপারে খোলাসা করেন না বা আপত্তি পত্র দেখাতে ও চান না , উল্টো তিনি খতিয়ান কে তুচ্ছ মনে করে তিনি ও সেই চক্রে জড়িত হচ্ছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এভাবেই দুই বছর ধরে হয়রানি করা হচ্ছে শ্যাম লাল কে, এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক তার সাথে আরও চার জন মানুষের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছিল এই এলাকায় যাদের নেই কোন জমির কাগজপত্র তারা ঘর বানিয়েছে কিন্তু এই দিন হাজিরা করা মানুষ কে কেন দুই বছর ধরে হয়রানি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল , কালা ইন উন্নয়ন খণ্ডের বিডিও কে সরজমিন তদন্ত করে প্রধান মন্ত্রী আবাস গৃহের গাইডলাইন মতে ঘর নির্মাণের আদেশ দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে ।