শিলচর থেকে ডি ডি, দত্ত 15 ই আগস্ট—- বরাক উপত্যকার মানুষ বীর টিকেন্দ্র জিত কে গভীর শ্রদ্ধা করেন এবং তার জন্ম দিবসে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সংগঠনের তরফে শ্রদ্ধা ও জানানো হয় ।এই জন্ম দিবস কে বরাক উপত্যকা তে ছুটির দিন ঘোষণা করতে যে ভাবে বরাক উপত্যকার পাঁচ বিধায়ক মাননীয় মূখ্য মন্ত্রী কে স্মারকলিপি দিলেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ।চল্লিশ লক্ষ বরাক বাসির গৌরব শিলচর রেল স্টেশন , এই স্টেশনের সাথে জড়িত আছে বাংলা ভাষি মানুষের আবেগ ।বাংলা ভাষার জন্য সেদিন শহীদ হয়েছিলেন এগারো জন আন্দোলন কারি ।
এই স্টেশনের নাম ভাষা শহিদ স্টেশন করার জন্য বরাক উপত্যকার বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন, কিন্তু বারবার বিভিন্ন ধরনের যুক্তি তুলে ধরে সেটা আটকাতে চাইছে রাজ্য সরকার , এবার বিধানসভা সভা চলাকালীন সময়ে এই স্টেশনের নাম ভাষা শহিদ স্টেশন করার দাবি একমাত্র বিধায়ক কম লাক্ষ দে পুর কায় স্থ ছাড়া কেউ বিধানসভা তে তুলেন নি , এরপর তার উত্তরে মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা যা বললেন তা রীতিমতো উদ্ভট বলে মনে করছেন বরাক উপত্যকার মানুষ ।অনেকেই মনে করেন এই ধরনের যুক্তি তুলে ধরে আখেরে ডিমাসা বাঙালির মধ্যে এক বিদ্বেষ ভাব যে সৃষ্টি হবে তা মনে করা হচ্ছে ।এমনিতেই গতকাল ডিমাসা উগ্র পন্থী সংগঠন বৃহত্তর ডিমাসা রাজ্য গঠনের ডাক দিয়েছিল , বরাক উপত্যকার তিন জেলার একাংশ এলাকা কে জুড়ে নিয়ে । সচেতন মহল মনে করছেন সে দিন মন্ত্রী যে বলেছিলেন ডিমাসা রা আপত্তি জানিয়েছেন তাই ভাষা শহিদ নামকরণ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে ।
এসব নিয়ে বি ডি এফ সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে , কিন্তু বরাক উপত্যকার একমাত্র বিধায়ক কম লাক্ষ দে পুর কায় স্থ ছাড়া বাকী চৌদ্দ জন বিধায়ক নীরব কেন? এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে ।এদিকে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মতো বরাক উপত্যকার পাঁচ বিধায়ক যে ভাবে মেতে উঠলেন তা রীতিমতো হাস্যকর , অবশ্য তাদের দোষ নেই ভাষা শহিদ স্টেশন নিয়ে টু করলে পদ চলে যাবে । আগামী দিনে যখন লক্ষ লক্ষ বাঙালি রাষ্ট্র হীন হবে সেদিন পাঁচ বিধায়কের মধ্যে চার বিধায়ক কি ভূমিকা পালন করেন তা দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছেন বরাক উপত্যকার ম