বিশেষ প্রতিবেদন 26 শে সেপ্টেম্বর শিলচর– বর্তমান আসাম সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেওয়ার জন্য সমগ্র রাজ্যের সরকারি কার্যালয় থেকে দূর্নীতির শেকড় সমূলে তুলতে যে ভাবে দালালদের উৎখাত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে আপাতত সাধারণ মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে ।পূর্বের সরকারের আমলে প্রতিটি সরকারি কার্যালয়ে বড় বড় হরফে লেখা হয়েছিলো দেবো ও না আর নিবো ও না —- বর্তমানে এই সব লেখা বোর্ড গুলো আবর্জনার বাক্সে শোভা পাচ্ছে ।
বর্তমান সরকারের মূখ্য মন্ত্রী প্রথম থেকেই দূর্নীতি দমনের চেষ্টা করে আসছেন , বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে বৈঠক করছেন , জনসাধারণের সুবিধার জন্য প্রতিটি কার্যালয়ে গড়ে উঠা দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে । প্রতিটি কার্যালয় শুনশান ।বর্তমানে অনলাইন পদ্ধতিতে সব ধরনের আবেদন নিবেদন করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।প্রতিটি লাইসেন্স নূতন করে পেতে এবং নবী করন করা সহ বিভিন্ন প্রমাণ পত্র সংগ্রহ করতে এখন থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে বলে জানা গেছে ।সূত্রের দাবি এই ব্যবস্থা চালু হলে পরিবহন বিভাগ, বন বিভাগ , রাজস্ব বিভাগের কার্যালয়ে দালাল নির্মূল হবে , এখন কার মতো কার্যালয়ের বাইরে ভিড় জমা হবে না । কিন্তু বাস্তবে কি জনসাধারণের ভোগান্তি শেষ হবে? এই প্রতিবেদক জানিয়েছেন একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যালয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করলে জনসাধারণের ভোগান্তি পোহাতে হয় না ।উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ইদানিং বরাক উপত্যকার একটি বেকার যুবক অনলাইনে রেল বিভাগের কাছে চাকরির আবেদন করলে রেল বিভাগ তার মার্ক সিট পরীক্ষা করে তাকে নিযুক্তি পত্র পাঠায় ।যে ভাবে বলা হয়েছিলো বিনা সাক্ষাৎকার ছাড়া নিযুক্ত করা হবে এমনটা হলো ।
এদিকে রাজ্য সরকারের কার্যালয়ে এমনটা যদি হয় তাহলে সরকারের এই অনলাইন পদ্ধতি চালু করা সফল হবে । এই প্রতিবেদক রাজ্য সরকারের বেশ কিছু বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে যারা লাইসেন্স দেয় এবং নবীকরণ করেন তাদেরকে বললেন এখন আর ঝামেলা পোহাতে হবে না আর উৎকোচ ও দিতে হবে না মনে হয় , কি বলেন ? উত্তরে তিনি বললেন অনলাইনে আবেদন করলে নথি পত্র তো পরীক্ষা নিরীক্ষা ভূল শুদ্ধ কর্মচারীরা করতে হবে , তারপর দস্তখত — উদাহরণ হিসেবে বললেন পরিবহন বিভাগ, বন বিভাগ এই সব বিভাগের লাইসেন্স পেতে ও নবীকরণ করতে যে ধারা আজ থেকে তিরিশ বছর ধরে চলছে সেটা কি আর অনলাইনে আবেদন করা হলে পাওয়া সহজ হবে? যতটুকু উপলব্ধি হলো অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলেও মানি লাইন ছাড়া কিছু হবে না ।যতক্ষণ পর্যন্ত আমলা তান্ত্রিক সরকারের আধিকারিক গন শোধরাবেন না ততদিন দূর্নীতি দমন সম্ভব নয় ।