রাজনৈতিক প্রতিবেদন 1 লা অক্টোবর শিলচর— সত্যি কথা বলতে কি , আজ পর্যন্ত আসামে যে শুধু অসমীয়া জনগন বাস করেন না তা দিল্লীর দরবারে কোন সাংসদ বিধায়ক তুলে না ধরায় আসাম উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের মতো পার্বত্য রাজ্য প্রায় হয়ে গেছে , সম্প্রতি আসাম সরকার বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেছে, এবং তাদেরকে উপজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ।
এদিকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা যেমন ভূমির অধিকার, চাকরির অধিকার ভূমি পুত্র দের জন্য প্রায় সংরক্ষণ করা হয়ে গেছে ।বিশেষ সূত্রে জানা গেছে এন আর সি থেকে আনুমানিক এক কোটির বেশি বাংলা ভাষী জনগণের ঠাঁই হবেনা । কারন আসাম চুক্তির ভিত্তিতে এন আর সি উন্নীত হলে 1966 ইংরেজি র 2 রা জানুয়ারি থেকে 24-3-71 মধ্য রাত্রি পর্যন্ত আসামে আশ্রয় নেওয়া বিশেষ করে বাংলা ভাষী হিন্দু মুসলমান যে বিদেশী আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের বিদেশী হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে সে ব্যাপারে বাংলা ভাষী জনসাধারণের মধ্যে কোন উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে না ।ঠিক তেমনি সাংসদ বিধায়ক দের ও কোন দায়বদ্ধতা চোখে পড়ছে না ।সেদিন দেখলাম প্রাক্তন বিধায়ক শিলা দিত্য দেব সহ শের মান আলীর মতো বিধায়ক গন বলছেন অ পরিপক্ক কথা ।তারাই আসাম চুক্তি ভালভাবে বুঝেন নি এবং তারাই দলীয় হিসেবে এই চুক্তি মেনে বিদেশী বাছাই করতে সহমত পোষণ করেছেন ।
আসামের কোন রাজনৈতিক দল আগামী দিনে উদ্ভব পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতে পারবেন না , কারন সবাই আসাম চুক্তির ছয় নম্বর ধারা মতে আসামের বিদেশী সমস্যা সমাধান করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লিখিত ভাবে মত প্রদান করেছেন ।
এমতাবস্থায় শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ বিচক্ষণ সুস্মিতা দেব তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগ দিযে পুরস্কার স্বরূপ রাজ্য সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি যথা সময়ে সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষ ক গন মত প্রকাশ করেছেন ।সত্যি বলতে কি এই প্রতিবেদক 2016 ইংরেজি তে দিল্লীর গৃহ মন্ত্রকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন এক বিশেষ কাজে , সেখানে গিয়ে বুঝতে পারলেন যে উত্তর পূর্বের অন্যান্য রাজ্যের মতো আসাম অসমীয়া দের ।কিন্তু এই প্রতিবেদক যখন বললেন যে আসামের মোট জনসংখ্যার আনুমানিক দেড় কোটি মানুষ বাংলা ভাষী তাছাড়া হিন্দি ভাষী মানুষ ও আছেন ।তখন ঐ আধিকারিক বললেন এসব নিয়ে মোদীর দরবারে হাজির না হলে অদূর ভবিষ্যতে আসাম পার্বত্য রাজ্য হয়ে যাবে ।বর্তমান সময়ে বিশেষ করে আসাম সহ উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলিতে থাকা বাংলা ভাষী জনগন প্রতিদিনই হেনস্থা র স্বীকার হচ্ছেন , তা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মাননীয়া রাজ্য সভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ই একমাত্র ভরসা বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ ।তাদের মতে আসামের কোন সাংসদ এই ব্যাপারে কথা বলবেন না , তাই ছোট দিদির মাধ্যমে বড় দিদি কে দিয়ে ভারতীয় সংসদে উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলির বাঙালির করুন অবস্থা তুলে ধরতে পারবেন বলে বিরাট আশা করছেন । আর এব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা যদি সাংসদ সুস্মিতা রাজ্য সভায় তুলে ধরতে পারেন তাহলে বরাক উপত্যকা থেকে তৃণমূলের রথ ত্রিপুরা পর্যন্ত যেতে কোন অসুবিধা হবে না বলে জোরালো আলোচনা চলছে ।