DIGITAL

September 24, 2023

APTCE 18538973148

গন বন্টনের চাউল নিয়ে কেলেঙ্কারি বরদাস্ত করা হবে না–মূখ্য মন্ত্রী

গুয়াহাটি থেকে বিকাশ রায় 26 শে অক্টোবর– গতকাল আসামের বাক সা জেলার তা মূল পুরে এক জন সভায় আসামের মূখ্য মন্ত্রী ডঃ হেমন্ত বিশ্ব শর্মা মঞ্চে উপবিষ্ট রাজ্যের যোগান মন্ত্রী রঞ্জিত দাসের সম্মুখে দ্ব্যর্থ হীন ভাষায় বলেন গন বন্টনের চাউল গ্রাহকদের কম দিলে ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি বলেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে খাদ্য সুরক্ষার চাউল ও প্রধান মন্ত্রীর গরীব যোজনা র চাউল নিয়ে খেলি মেলি চলার তথ্য তাঁর কাছে এসেছে ।তিনি বলেন বিভিন্ন সমবায় সমিতির ডিলার গন খাদ্য সুরক্ষার বরাদ্দকৃত চাউল মাথা পিছু পাঁচ কেজির পরিবর্তে চার কেজি করে দিচ্ছেন,  এদিকে গরীব কল্যান যোজনা র চাউল নিয়ে ব্যাপক হারে কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন সরকার পরিবহণ খরচের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেওয়া সত্তেও এক কেজি করে চাউল কম দেওয়ার জন্য পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করা হবে।

তিনি বলেন চাল মোদীর , পুলিশ আমার , গরীবের জন্য বরাদ্দ চাউল নিয়ে দূর্নীতি তাঁর সরকার বরদাস্ত করবে না, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশেষ করে গন বন্টনের অভিযোগ দায়ের করতে নূতন ফোন নাম্বার প্রকাশ করবেন । মূখ্য মন্ত্রীর এই পদক্ষেপ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন গরীব জনসাধারণ ।

এদিকে শিলচরের সংবাদ দাতা বি, দত্ত জানিয়েছেন  কাছাড় জেলার বেশ কিছু সমবায় সমিতি সরকারের সব নিয়ম কানুন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খাদ্য সুরক্ষার চাউল নিয়ে ব্যাপক হারে দূর্নীতি সংঘটিত করে আসছে ।পরিবহন খরচ সরকার বহন করা সত্বেও মাথা পিছু পাঁচ কেজি চাউলের পরিবর্তে চার কেজি করে বন্টন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহক গন ।অভিযোগ করে ও সুবিচার পাচ্ছেন না গরীব মানুষ ।পাবেন কি করে? খোদ কাছাড় জেলার খাদ্য ও অ সামরিক সরবরাহ বিভাগের উপ অধিকর্তা, সরবরাহ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমবায় সমিতির উর্ধ ত ন কতৃপক্ষ এবং সম্পাদক সিন্ডিকেট তৈরি করে এই গন বন্টনের সামগ্রী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দূর্নীতি করে আসছেন ।এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক বেশ কিছু সমবায় সমিতি বিগত দুই বছর ধরে গন বন্টনের আটা খোলা বাজারে বিক্রি করে আসছে ।খাদ্য সরবরাহ বিভাগের পরিদর্শকের কাছে প্রতি মাসের বরাদ্দ কৃত সামগ্রীর তালিকা চাইলে তারা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা সাংবাদিক দের কে ও দেখাতে রাজী নন বলে খবর পাওয়া গেছে ।বিশেষ সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি আসামের মূখ্য মন্ত্রী ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলে অধিকাংশ ডিলার প্রকাশ্যে বলছেন সমবায় সমিতির সম্পাদক আমাদেরকে চাপে রেখে আমাদের খাতায় আটা লিখেছেন , ভারতীয় খাদ্য নিগমের উপর দোষ চাপিয়ে আমাদের খাতায় খাদ্য সুরক্ষার চাউল এক কেজি করে মাথা পিছু কম দিচ্ছেন ।দুই একজন সম্পাদক তো বলে দিয়েছেন মূখ্য মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দায়ের করলে ও কোন কিছু হবে না । এখন প্রশ্ন উঠছে সমবায় সমিতি গুলির সম্পাদক গন কোথা থেকে এত স্পর্ধা দেখাচ্ছেন  ? ডিলার গন বলছেন আমরা যে পরিমাণ সামগ্রী পেয়েছি তা আমাদের খাতায় লেখা আছে সেই মতো আমরা বন্টন করেছি , শুধু আমাদের কে তদন্তের আওতায় না এনে খাদ্য সরবরাহ বিভাগের কর্মীরা সহ সমবায় সমিতি গুলির সম্পাদক দের তদন্তের আওতায় আনা হোক তাহলে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে ।বিশেষ সূত্রে জানা গেছে দুই তিনটি সমবায় সমিতি মাসে তিনশো থেকে পাঁচশ  কুইন্টাল চাউল খোলা বাজারে বিক্রি করছে ।