DIGITAL

June 5, 2023

APTCE 18538973148

কাছাড় জেলার গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের চার সহকারী বাস্তুকার বহাল তবিয়তে, কার অঙ্গুলী হেলনে ? অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদন 2 রা নভেম্বর শিলচর– রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের দূর্নীতি নির্মূল করতে রাজ্য পর্যায়ে সহকারী বাস্তুকার  দের বদলী করার নির্দেশ দেন, সেই মতো রাজ্যের পঞ্চায়েত বিভাগের কমিশনার সম্পাদক দু মাস আগে রাজ্য পর্যায়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় সহকারী বাস্তুকার দের বদলী র আদেশ প্রদান করে জেলা শাসকের কার্যালয়ে পত্র  প্রেরণ করেন ।সেই আদেশ কঠোর ভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলে  ও তার ব্যতিক্রম কাছাড় জেলায় পরিলক্ষিত হয়েছে ।

এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক বিগত 2021 ইংরেজি র ফেব্রুয়ারী মাসে সমগ্র কাছাড় জেলার  বিভিন্ন উন্নয়ন খণ্ডে মন রেগা কাজের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, উদাহরণ হিসেবে কালাইন উন্নয়ন খণ্ডে ফেব্রুয়ারি মাসে তিন দিনে চার কোটি ঊনিশ লক্ষ টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে , এভাবে অন্যান্য উন্নয়ন খণ্ডে সংঘটিত হয়েছে এই ধরনের হাই টেক দূর্নীতি। আর এইসব কেলেঙ্কারি র পিছনে মদত ছিল সহকারী বাস্তুকার দের হাত ।এসব নিয়ে বিস্তর অভিযোগ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ।ফলে রাজ্যের পঞ্চায়েত বিভাগ কিছু নড়েচড়ে বসে এবং সহকারী বাস্তুকার দের ব্যাপক হারে বদলী করতে বাধ্য হয়।

এদিকে কাছাড় জেলার পালং ঘাট উন্নয়ন খণ্ডের সহকারী বাস্তুকার রাজকুমার রায় কে  বজালী  উন্নয়ন খণ্ডে , বড় খলা উন্নয়ন খণ্ডের সহকারী বাস্তুকার সপ্ত জিত দে কে ডিমা হাসা ও জেলায় , বড় জালেঙা উন্নয়ন খণ্ডের সহকারী বাস্তুকার সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য কে হারা ঙা জা  উন্নয়ন  খণ্ডে ও কাঠি গড়া উন্নয়ন খণ্ডের সহকারী বাস্তুকার শৈলেশ কুমার কে বড় পেটা জেলায় বদলী করা হয়েছে ।কিন্তু আজ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে এই চার সহকারী বাস্তুকার যাদের বিরুদ্ধে দেদার অভিযোগ যাদের দ্বারা মন রেগা  প্রকল্পের কাজ না করেই সমগ্র কাছাড় জেলায় আনুমানিক পঞ্চাশ কোটি টাকার হাই টেক কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে । আপাদমস্তক দূর্নীতি তে নিমজ্জমান এই সব সহকারী বাস্তুকার দের বদলী  রদ করার ব্যাপারে জেলা শাসক সহ বিধায়ক তথা সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল ।এদিকে কাছাড় জেলার অগ্রণী সামাজিক সংগঠন সর্বাঙ্গীণ মানব কল্যাণ সংঘ  এই চার সহকারী বাস্তুকার দের কে কেনো বদলী করা হচ্ছে না  তা নিয়ে আসামের মাননীয় মূখ্য মন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে এক স্মারকলিপি প্রদান করে। , তাতে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে যে  এমন কি রহস্য  আছে এই চার সহকারী বাস্তুকার দের  বদলী আটকে রাখার?  তাহলে কি সরকারের লোক দেখানো  এই বদলী সংক্রান্ত আদেশ ,।সংঘের এক প্রতিনিধি দল সম্প্রতি দিস পুরে গিয়ে মূখ্য সচিব সহ  পঞ্চায়েত বিভাগের কমিশনার ও অন্যান্য আধিকারিক দের সাথে দেখা করে তাদেরকে  মনে করিয়ে দেন মূখ্য মন্ত্রীর বদলী সংক্রান্ত সেই ঘোষণা ।

এই বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন যে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের আমলে যে ভাবে দূর্নীতি  পরান  কর্মীদের  জামাই আদর করে  নিজ পদে বহাল রাখা হতো সে ভাবে বর্তমান সরকার ও সেই নীতি বহাল রেখেছেন , ব্যতিক্রম শুধু  মৌখিক স্বচ্ছ প্রশাসনের ভাষ ণ টা ।