ইউসুফ আলী বড় ভূঁইয়া 15 ই নভেম্বর শিলচর– কাছাড় জেলার খাদ্য ও অ সামরিক সরবরাহ বিভাগের দূর্নীতি নূতন নয়। কংগ্রেস আমলের মতো বর্তমান দূর্নীতি মুক্ত বিজেপি সরকারের আমলেও সেই ধারা অব্যাহত আছে । করোনা মহামারী সংক্রমণ কারোর কাছে সর্বনাশ হিসেবে দাঁড়িয়েছিল আর কারো কাছে পৌষ মাস হয়েছিলো, এই মহামারী সংক্রমিত হলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে গরীব মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করতে উদ্যোগী হয়েছিল উভয় সরকার । কি দেয় নাই সব কিছু দেওয়া হয়েছিলো , পরিশেষে প্রধান মন্ত্রীর গরীব কল্যান যোজনা র আরো ও অতিরিক্ত পাঁচ কেজি করে বিনামূল্যে চাউল ও দেওয়া হয়েছে , কিন্তু এসব সামগ্রী নিয়ে দেদার দূর্নীতি সংঘটিত হলে ও জেলা প্রশাসনের তরফে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় নাই ।
এই মহামারী সংক্রমণ কালে কি কি সামগ্রী প্রতি মাসে বরাদ্দ করা হয়েছিল তার তালিকা চেয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও আর টি আই কর্মী আবেদন করে ও পান নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে ।কাছাড় জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ও এসব নিয়ে জেনে শুনে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে । এক কথায় কংগ্রেস আমলেই যে দেদার দূর্নীতি হতো বলে একটা রেওয়াজ ছিলো সেটা বর্তমান সরকারের আমলে ছাপিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজ কর্মীরা ।
গো খাদ্যের মতো সামগ্রী যে এভাবে গায়েব করে দেওয়া হবে সেটা ও বিজেপি সরকারের আমলে যে হবে সেটা ভাবা যায় নি । বিগত দুই বছর ধরে বরাক উপত্যকার প্রতিটি সমবায় সমিতিতে আটা বরাদ্দ করা হলেও বেশ কিছু সমবায় সমিতিতে সেই আটা পৌছায় না । কিন্তু দেখা যায় রেশন ডিলারদের খাতায় যথারীতি আটা বরাদ্দের পরিমাণ লিখে দেওয়া হয়েছে, এই প্রতিবেদকের জনৈক আর টি আই কর্মী হোসেন আহমেদ চৌধুরী বলেন যে আটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে সরবরাহ বিভাগের জনৈক পরিদর্শক মিনার হোসেন বলেন যে বরাত প্রাপ্ত আটা মিল জৈন ফ্লা ওয়ার মিল নামের প্রতিষ্ঠান অতি নিম্নমানের আটা সরবরাহ করে, যা গ্রাহক গন নিতে চান না তাই সমবায় সমিতিতে প্রেরন করা হয় না । এই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কথা শুনে হোসেন বাবু বলেন যে মেনে নিলাম আপনার কথা , কিন্তু ডিলারদের আই ডি বুকে আটা র উল্লেখ কেনো করা হলো । তিনি আরও বলেন যে বিগত দুই বছর ধরে এই আটা মিল যদি নিম্নমানের আটা সরবরাহ করে থাকে তাহলে লক্ষীপুর মহকুমার সমবায় সমিতি গুলো তে কি ভাবে ভালো মানের আটা মাথা পিছু চারশো পঁচাত্তর গ্রাম করে দেওয়া হয় । এখন প্রশ্ন হলো এই একই আটা মিল থেকে সেখানে ও সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে ।
এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক সম্প্রতি সরবরাহ বিভাগের মন্ত্রী যে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির উপর হাস্যকর মন্তব্য করেছেন ঠিক তেমনি এই পরিদর্শক ও এমনই মন্তব্য করেছেন , এক কথায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার বাইরে তিনি ও নেন । এই সমাজ কর্মী আজ সোনা পুর সমবায় সমিতি সহ আরও দুই সমবায় সমিতির ডিলারদের খাতা দেখতে এবং জৈন ফ্ল্যা ওয়ার মিল শিলচরে কাছে বিগত দুই বছরের বরাদ্দ তালিকা চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন জানাবেন বলে আজ এই প্রতিবেদকের কাছে জানিয়েছেন ।