নিজস্ব সংবাদ দাতা বি হাড়াবাজার 19 শে নভেম্বর— বরাক উপত্যকার রোগীরা কেনো সু চিকিৎসার জন্য বাইরে চলে যায়? তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই প্রতিবেদকের হাতে তুলে দিলেন বি হাড়া বাজারের সাংবাদিক মনি শঙ্কর পুর কায় স্থ । মনি শঙ্কর বাবু একজন কিডনি রোগী , দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কিডনি জনিত কারণে ভুগছেন । গত 15 নভেম্বর তিনি রক্ত পরীক্ষা করার জন্য কালা ইন এস আর এল এর মাধ্যমে শিলচরের নামী ক্লিনিক বায়ো মেডে পাঠান , সেখান থেকে যে রিপোর্ট আসে তাতে দেখানো হয়েছে তার কিডনি র ক্রিয়েটি নিন স্তর 6:23 , অর্থাৎ এই স্তরে চলে গেলে রোগীর ডায়া লেসিস ছাড়া আর রক্ষা নেই , স্বভাবতই পরিবারের লোকজন ভীষণ দুশ্চিন্তা র মধ্যে পড়ে যান তাই 17 ই নভেম্বর তড়িঘড়ি করে শিলচরের মেডি ল্যান্ড নার্সিং হোমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ।
17 ই নভেম্বর নার্সিং হোমে গিয়ে ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সেন পুর কায় স্থ কে এই রিপোর্ট দেখালে তিনি মেডি ল্যান্ড লেবে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করান এই রিপোর্টে দেখা যায় কিডনি র ক্রিয়েটি নিন স্তর 3:2 , এই রিপোর্ট মনি শঙ্কর বাবু র পরিবারের লোকজন দেখার পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন।সেই মতে চিকিৎসক ও ঔষধের ব্যবস্থা করে দেন । এই প্রতিবেদকের কাছে মনি শঙ্কর বাবু রিপোর্টের কপি দেখিয়ে বলেন কি যাদু বলে দুই দিনের ব্যবধানে কিডনি র ক্রিয়েটিনিন স্তর এত নিচে নেমে আসলো ? এব্যাপারে মনি শঙ্কর বাবুর স্ত্রী রুবি পুর কায় স্থ বায়ো মেড কতৃপক্ষ কে অবগত করালে তারা আবারো রক্তের নমুনা পাঠাতে বলেন তারা জোর গলায় বললেন তাদের দেওয়া রিপোর্ট সঠিক , মেডি ল্যান্ডের রিপোর্ট সঠিক নয় ।এভাবে কে সঠিক আর কে বেঠিক তার ময়নাতদন্ত কে করবে? এভাবে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সচেতন মহল ।আজ একজন সাংবাদিকের সাথে যদি এই ধরনের ফাজলামি চলে তাহলে আমজনতার সাথে কি হবে ।
এক কথায় শিলচরের চিকিৎসা ব্যবস্থা বাণিজ্যিক হয়ে গেছে , যেমন অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্সিং হোম কতৃপক্ষ এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্র এক জোট হয়ে পকেট খালি করে নিচ্ছেন আমজনতার ।শিলচরের চিকিৎসক দের নির্দিষ্ট ল্যাবে রোগ নির্ণয় করা না হলে তারা রেগে যান বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে, আর ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ল্যাব গুলো থেকে চিকিৎসক গন বিশাল অংকের কমিশন পান , দেখা গেছে এক জন মানুষের রক্তের নমুনা একই দিনে তিনটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে একেকজন একেক রকম রিপোর্ট দিয়েছে , এই হলো শিলচরের চিকিৎসা পরিষেবার নামে দিনে ডাকাতি ।মনি শঙ্কর বাবুর রিপোর্ট কি তা বলে না? তিনি এই ব্যাপারে জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন