বিশেষ প্রতিবেদন 21 শে নভেম্বর শিলচর—- বাংলাদেশ সৃষ্টির পর এমনটা ছিলোনা, কিন্তু বিগত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মের উপর এমন ভাবে আঘাত তৈরি করা শুরু হয়েছে যা বর্তমানে চরমে উঠেছে । অধিকাংশ মুসলমান একমাত্র সিলেট জেলা কে বা দিয়ে সর্বত্র হিন্দু ধর্মের দেব দেবী ভাঙচুর সহ মন্দির ভাঙ্গার প্রতিযোগতায় নেমে পড়েছে ।তাদের একাংশের বক্তব্য মুসলিম দেশে অ মুসলিম দের স্থান নেই , থাকতে হলে ইসলামিক নীতি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাইতো তারা বিশেষ করে হিন্দু দের টার্গেট করেই ইসলামিক শাসন কায়েম করতে চায় , অবশ্য খৃষ্টান দের বিরুদ্ধে চটে না আর তার কারন ও আছে । এবার অবশ্য সিলেট জেলা তে তার প্রভাব পড়তে দেখা গেছে ।
বিগত শারদীয় দুর্গা পূজার সময় যে ধরনের সুপরিকলপিত ভাবে মূর্তি ভাঙ্গা হলো আর তার অব্যবহিত পরে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী যে ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ঘর বাড়ি, মন্দির তছনছ করা সহ মহিলা শিশুদের সহিত যে ধরনের ঘটনা সংঘটিত হলো তা মানবিকতার নিম্ন তম স্তর বললে কম হবে ।আজকের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সমগ্র বিশ্বের মুসলমান গন এক ই আল্লার অনুসারী , আল্লার কোরান তাদের কাছে পবিত্র । আল্লার বাড়ি বলে পরিচিত আরব আমীর শাহী র মক্কা মদিনা তাদের একমাত্র পবিত্র তীর্থ স্থান । এদিকে আরব দেশের মুসলমান গন সব চাইতে বেশী পবিত্র কোরান মেনে চলেন , দেশের শাসন ব্যবস্থা কোরান হাদিস মেনে পরিচালিত হয় ।সেখান কার সরকার যদি দুবাই মহা নগরীতে হিন্দু দের বৃহততম মন্দির তৈরি করার অনুমতি দিতে পারেন , তাহলে এক ই আল্লার অনুসারী বাংলাদেশের একাংশ মুসলমান বাংলাদেশের মন্দির ভাঙ্গার জন্য মেতে উঠেছে কেন্ ? যদি এক আল্লা , এক কোরান এক বিধান হয়ে থাকে তাহলে ব্যতিক্রম কেনো এভাবে প্রশ্ন উঠেছে । আর যতবার ই হিন্দুদের দেব দেবী সহ মঠ মন্দির ভাঙার আওয়াজ উঠে সেখানেই পবিত্র কোরান কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।সব কিছু তেই এই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কে টেনে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। তাহলে দেখা যাচ্ছে ইসলামিক বিশ্বের আতুর ঘর বলে পরিচিত আরব দেশ সংকীর্ণতা কে ছেড়ে দিতেই বাংলাদেশে র একাংশ মুসলমান নামধারী কিছু লোক সংকীর্ণ ধর্মীয় উন্মাদ হয়ে গিয়ে যে সব ইসলামের পরিপন্থী কাজ করছে সমগ্র বিশ্বের প্রকৃত মুসলমান গন তা যে সমর্থন করছেন না তা টের পাওয়া যাচ্ছে । প্রবাদ আছে সরল হ ও বেকুব হ ই ও না ।ধর্মীয় আচরন করো ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করো না ।