বিশেষ প্রতিবেদন 24 শে নভেম্বর শিলচর—- প্রায়শই একটি কথা শুনতে পাওয়া যায়, হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ নয় । আর এই সুযোগ কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুরা অত্যাচারিত হচ্ছে ।ইতিহাস সাক্ষী , সোমনাথ মন্দির যখন ধবংস করে সুলতান মাহমুদ তখনই ছিলো জাতিভেদ প্রথা আর আজ ও সেই একই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া এক শ্রেণীর উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা ।
হিন্দুদের মধ্যে বর্ণাশ্রম প্রথা টাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে দিচ্ছে না বলে অভিমত প্রকাশ করেন হিন্দু সংগঠনের বেশ কিছু নেতা কর্মী । তাদের মতে ভারতীয় সংবিধানে অস্পৃশ্যতা দূর করার বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করা সত্বেও দেখা যাচ্ছে পুরী র জগন্নাথ মন্দিরে এখনও নিম্ন বর্ণের মানুষের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় । বাদ যাননি প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাম নাথ ক বিন্দ । এখনও যদি একজন সনাতনী হিন্দু তার ধর্মের উপাসনা স্থলে যেতে এবং ভূরি ভোজন অনুষ্ঠানে এক সাথে খেতে না পারে সেখানে হিন্দু ঐক্যের কথা ভাবা যায় না ।এখনো ভারতের অনেক অঞ্চলে জাতি ভেদ প্রথা কঠোর ভাবে মেনে চলা হয় ।এদিকে যদি কোন দিন পুরী র জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালায় কোন উগ্রবাদী সংঘটন তখনও কোন নিম্ন বর্ণের হিন্দু রা এগিয়ে আসবে না কারন তাদের প্রবেশের ফলে যদি মন্দির অপবিত্র হয়ে যায় এমনটাই মনে করবেন । যেমনটা সোমনাথ তার অতীত উদাহরণ ।
এই জাতি ভেদ প্রথা অ হিন্দুরা ভালো ভাবেই জানে তাই যেকোন সময় তারা ভারত কে আক্রমণ করতে ভয় পায় না । আর এটা ও তারা জেনে গেছে হিন্দুদের নানা মত নানা মুনি ।তাই তো ইদানিং বাংলাদেশের নিকৃষ্ট ঘটনার জন্য ভারত থেকে প্রতিবাদ উঠার কথা যতটা ছিলো তত টা হয়নি । জনৈক হিন্দু সংঘটনের কর্মী বললেন , যতক্ষণ না বর্ণাশ্রম প্রথা বিলোপ না হবে ততদিন হিন্দুদের মধ্যে ঐক্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ । তাই আমরা সবাই হিন্দু বলে যদি হাতে হাত মিলা তে পারি তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে