নিজস্ব সংবাদ দাতা 28 শে নভেম্বর শিলচর– কেন্দ্র সরকার এক দেশ ও এক রেশন কার্ড প্রবর্তনের কথা যখন ভাবছেন ঠিক এই সময়ে এমন এক তথ্য হাতে এসে পড়েছে যা রীতিমতো খাদ্য ও অ সামরিক সরবরাহ বিভাগের গাফিলতির চরম নিদর্শন বললে ও যেন কম হবে ।
এই ঘটনা বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার খাদ্য ও অ সামরিক বিভাগের কর্তব্যরত আধিকারিক ও পরিদর্শক দের দায়িত্ব বোধের উপর প্রশ্ন চিহ্ন একে দিয়েছে এমনটাই মনে হচ্ছে ।প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের যে কোন সুবিধা পেতে রেশন কার্ডের নাম্বার আবশ্যক হয়ে পড়েছে , সাধারণ মানুষ প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা, ব্যাঙ্কের খাতা, বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার সহ যাবতীয় সরকারি সুবিধা সুবিধা পেতে সরকার রেশন কার্ডের নাম্বার যখন বাধ্যতা মূলক করে দিয়েছে আর সেখানে যদি আপনি কাছাড় জেলার বাসিন্দা হন আর আপনার যদি রেশন কার্ডের নাম্বার যদি গোয়াল পাড়ার বা কামরূপ জেলার হয়ে থাকে তাহলে আপনার আবেদন পত্র পাঠ খারিজ হয়ে যাবে আর এমনটাই হচ্ছে । প্রায় শুনতে পাওয়া যায় প্রধান মন্ত্রী আবাস ও প্রধান মন্ত্রীর উজ্জ্বলা যোজনা র আবেদন করা সত্বেও গরীব মানুষ পাচ্ছেন না , খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সব নথি ঠিকই আছে কিন্তু রেশন কার্ডের ভেজালে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।
কেন্দ্র সরকারের এইসব সুযোগ সুবিধা ভোগ থেকে কোনো বঞ্চিত হচ্ছেন এই সব মানুষ তা অনুসন্ধান করতে গেলে এই প্রতিবেদকের হাতে এমন তথ্য তুলে আসে যা রীতিমতো আসাম সরকারের খাদ্য ও অ সামরিক সরবরাহ বিভাগের শুধু গাফিলতি প্রমান করে না তাদের দায়িত্ব বোধ নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হয় । এই প্রতিবেদক বিক্রমপুর ও সোনা পুর সমবায় সমিতির বেশ কিছু রেশন কার্ড দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন । উদাহরণ হিসেবে জনৈক দাস পদবী র এক ভদ্রমহিলার রেশন কার্ডে তিনটি নাম্বার লেখা আছে যেমন প্রথম নাম্বার 0195856 , দ্বিতীয় নাম্বার RC 00000487 আর সর্ব শেষ নাম্বারটা দেখানো হয়েছে181004570244 তাও আবার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের পরিদর্শকের স্বাক্ষর প্রদান করা ।এক কথায় সরকারি ভাবে এই সব নাম্বার লিখে দেওয়া হয়েছে ।
এই সব নাম্বার কি এবং কোনো লিখেছেন তা নিয়ে রহস্যের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে ।এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল , যে কোনও কারনে যদি এই গ্রাহক সুলভ মূল্যে র সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হন তাহলে তার রেশন কার্ডের নাম্বার দিয়ে কতৃপক্ষ খোঁজ নেবেন , তখন দেখা যাবে আদৌ তিনি এই সমবায় সমিতির অধীনে থাকা কোনো গ্রাহক ই নন , অতএব তার অভিযোগ গ্রাহ্য হবে না ।বলা হবে আপনার রেশন কার্ড নাম্বার ভূল সেটা ঠিক করে আনেন । এখন প্রশ্ন হলো ঠিক টা কে করবে ? যারা ঠিক করে দেওয়ার তারা যদি বেঠিক করে রেখে দেন , সেখানে তো আর কোনো সুরাহা মিলবে না । এভাবেই চলছে কাছাড় জেলার সরবরাহ বিভাগের স্বচ্ছ প্রশাসনের নমুনা ।
সূত্রের মতে উল্লেখিত দুই সমবায় সমিতি গুলোতে যদি এই ধরনের গরমিল ধরা পড়েছে তাহলে গোটা জেলার সমবায় সমিতির গ্রাহকদের এ নিয়ে সচেতন হতে হবে না হলে একদিন মহা বিপদে পড়তে পারেন , আর নিজেদের ন্যায্য মূল্যের সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হলেও কোনও অভিযোগ করতে পারবেন না কারন হয়তো বা আপনি অন্য জেলার রেশন কার্ড ধারী গ্রাহক , আইনের কাছে উপযুক্ত প্রমান দাখিল করতে হবে । এব্যাপারে জন প্রতিনিধি গন সহ জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে ।