বিশেষ প্রতিবেদন 12 ই ডিসেম্বর শিলচর– ইসলামিক রাষ্ট্রে অ মুসলিম দের ধর্মাচরণ ও ধর্মীয় উপাসনার স্থানের ব্যাপারে একাংশের বক্তব্য ছিলো ইসলামিক রাষ্ট্রে অ মুসলমানদের কোন অধিকার নেই । তাই বলে ইসলামিক রাষ্ট্র গুলো তে অ মুসলমানদের থাকতে হলে হয়তো বা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে হবে না হলে সেই দেশ থেকে চলে যেতে হবে এমনটাই মনোভাব পোষন করা হয় ।
যে মনোভাব কট্টর মুসলমান গন পোষন করেন তার বহিঃপ্রকাশ অহরহ ঘটছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মাটিতে ।বিশেষ করে বাংলাদেশের কট্টর মুসলমান গন যে ভাবে ইসলাম কে প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু দের জান মালের ক্ষতি সাধন করছে ফলে তাদের ধর্মাচরণ করতে ব্যাঘাত ঘটছে । বিগত শারদীয় দুর্গা পুজোর সময় যে ভাবে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় তা সেই মনোভাবের পরিচয় বলে সচেতন মহল মনে করেন ।
এদিকে যখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে অ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে , মন্দির তৈরি করা তো দূরের কথা যে গুলো আছে সে গুলো ধবংস করতে মেতে উঠেছে কট্টর বাদী গন ঠিক সেই মুহূর্তে কট্টর ইসলামিক শাসনে শাসিত সৌদি আরবের আবু দাবি তে একের পর এক বিশাল আকৃতির মন্দির তৈরীর শিলান্যাস হচ্ছে , এটা কিভাবে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে ।তাহলে কি সৌদি আরবের মুসলমান গন সংকীর্ণতা কে ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইছেন? এই প্প্রতিবেদকের হাতে একটি মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে র ছবি এসেছে , তাতে দেখা গেছে হিন্দু সন্যাসী দের দ্বারা হিন্দু শাস্ত্র বিধানে শিলান্যাস স্থলে সেখানকার বাদশা প্রদীপ প্রজ্বলন করছেন ।সেখানে নেই সংকীর্ণতা , আছে সহযোগিতা । এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক অধিকাংশ মুসলমান গন যোগ গুরু রাম দেব কে পছন্দ করেন না, এমনকি রামদেবের যোগ ব্যায়াম তো দূরের কথা রামদেব কতৃক তৈরী ঔষধ গুলো খেতে চান না ।কিন্তু সৌদি আরব সরকার রামদেবের যোগ ব্যায়াম কে স্কুলের পাঠ্য সূচি তে রেখেছে , ছাত্র ছাত্রীরা যোগ ব্যায়াম করছে , সেখানে নেই কোন ধর্মের বাঁধন ।শরীর কে ঠিক রাখতে ব্যায়াম যে আবশ্যিক তা ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন সৌদি আরবের লোকেরা ।আর যত সব গুজব আমাদের উপ মহাদেশ গুলো তে, এমন অভিমত ব্যক্ত করলেন সচেতন মহল ।