বিশেষ প্রতিবেদন 16 ই ডিসেম্বর শিলচর– অস্পৃশ্যতা আইন থাকলেও এখনও সমাজের মধ্যে অস্পৃশ্যতা পরিলক্ষিত হয় ।বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ ও উড়িষ্যা প্রভৃতি রাজ্য গুলিতে এখনও উচ্চ বর্ণের মানুষ নিম্ন বর্ণের মানুষের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার ঘটনা চোখে পড়ে।সেই মোগল আমলের মতোই এখনও উত্তর প্রদেশের ও উড়িষ্যা র অনেক মন্দিরে নিম্ন বর্ণের মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ আছে ।
এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক, সুলতান মাহমুদ যখন পবিত্র সোমনাথ মন্দির আক্রমন করেন তখন নিম্ন বর্ণের মানুষ দূর থেকে সব কিছু দেখে বাধা দিতে আসে নি , আর বাধা প্রদান করলে সুলতান মাহমুদ সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করতে পারতেন না ।কিন্তু সেই সময়ে অস্পৃশ্যতা এমন ভাবে ছিলো যে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করা তো দূরের কথা, মন্দিরের আশেপাশে ও যাওয়া যেতো না, যদি নিম্ন বর্ণের মানুষের ছায়া পড়ে যায় । এই কথাটা সুলতান মাহমুদ জানতেন তাই বিনা বাধায় সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন । এটা ইতিহাস সত্য ।
বর্তমানে যতই হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি উঠুক না কেনো তা কোনদিনই সাকার হবে না , কারন যতদিন এই সমাজ ব্যবস্থায় উচ্চ বর্ণ ও নিম্ন বর্ণের মধ্যে ফারাক থাকবে ততদিন সেটা স্বপ্নের জালে আটকে থাকবে ।এদিকে প্রায় সময়ই সামাজিক মাধ্যমে অনু সূচিত জাতির বিরুদ্ধে কটুক্তি করে পোষ্ট প্রদান করে হেয় প্রতিপন্ন করার ঘটনা পরিলক্ষিত হয় ।এই সব পোস্ট অনু সূচিত সমাজে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে । ইদানিং এইসব ঘটনা সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের দৃষ্টি গোচর হয়েছে, কেন্দ্র সরকারের সামাজিক ও ন্যায় বিভাগের মন্ত্রী ডঃ বীরেন্দ্র কুমার অনু সূচিত জাতি ও অনু সূচিত উপজাতির বিরুদ্ধে মর্যাদা হানিকর কোন মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন ।তিনি এধরনের লেখা পরিলক্ষিত হলে 14566 এই Tool Free নাম্বারে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বলে ঘোষণা করেছেন ।