বি হাড়া থেকে বিপ্লব কর চৌধুরী ও পিঙ্কু রায় হালদারের প্রতিবেদন ,27 শে ডিসেম্বর— কে জানত ?এই দুই কিশোর যে সোমবার ভোরের আলো আর দেখতে পাবে না , বিধির বিধান ঘর থেকে বের হয়ে আর যে ঘরে ফেরা হবে না তা কি জানতেন এই দুই পরিবারের কর্তা ব্যক্তিরা , এভাবেই আজ বলতে শুনা গেছে সমবেদনা জানাতে আসা মানুষের মুখে ।
সূত্রের খবর, গতকাল তিন বন্ধু যথাক্রমে ঋতু জ্যোতি আচার্য (17) অর্জুন ঘোষ (20) ও সঞ্জীব আখুরা (25) শিলচরের এক অনুষ্ঠান থেকে অটোতে করে ফেরার পথে শিলচর – হাফ লং মহা সড়কের ময়না গড়ে রাত আনুমানিক পৌনে সাতটা নাগাদ শিলচর অভিমুখী পাথর বোঝাই ট্রিপার গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তীব্র বেগে আসা ট্রিপার সম্পূর্ণ অটো কে বিশ্রী ভাবে চেপে ধরে ফলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় অর্জুন ঘোষ ও সঞ্জীব আখুবা নামের আরোহী র, তৃতীয় আরোহী ঋতু জ্যোতি আচার্যের তখন ও প্রাণ ছিলো , সঙ্গে সঙ্গে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা তার ও হলো না, একসাথে বের হয়ে দুই বন্ধু যে পথে গিয়েছে সেই পথে পা বাড়ায় সর্ব কনিষ্ঠ বন্ধু ।
এই শোকাবহ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন, তাদের অভিযোগ তীব্র বেগে চলাচল কারী পাথর বোঝাই লরি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করায় অকাল মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের । পথ অবরোধ কারী গন এই সড়কে চলাচল কারী সকল যানবাহন আটকে দেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বড় খলা পুলিশ পৌঁছে কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয় নি, এরপর শিলচর থেকে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক গন ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন , এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয় ।
আজ ময়নাতদন্ত করে দুই কিশোরের মৃত্যু দেহ বি হাড়া পৌছানোর পর সমগ্র বি হাডা তথা বৃহত্তর বিক্রমপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অগণিত মানুষ বিশিষ্ট সিপিআইএম নেতা , সমাজ সেবি রবীন্দ্র নারায়ণ আচার্যের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান । আজ বিকেলে বি হাড়া মহাশ্মশানে দুই কিশোরের শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয় ।অশ্রু সজল নয়নে শেষ বিদায় জানাতে ভুলেন নি কেউ , এদিকে অপর মৃত দেহ দুধ পাতিল গ্রামে যথাযথ ভাবে শেষ বিদায় জানান তার পরিবারের সদস্যরা ।গতকালের এই অনভিপ্রেত ঘটনার কথা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে দুই কিশোরের পরিবারের এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল ।