বি হাড়া থেকে বিপ্লব কর চৌধুরীর প্রতিবেদন 2 রা জানুয়ারি– পিতার কাঁধে পুত্রের মরদেহ, শব্ যাত্রার এক বিরল দৃশ্য ।রাজা হরি শ চন্দ্র সিনেমার দৃশ্য সেদিন মনে করিয়ে দিলো ।কিন্তু সেদিনের পার্থক্য এক ভিন্ন ধরনের ।ঘটনা কাঠি গড়ার বি হাড়া বাজার সার্বজনীন শ্মশান ঘাটের ।এই এলাকার বিশিষ্ট সিপিএম আই নেতা তথা বিশিষ্ট সমাজ সেবি রবীন্দ্র নারায়ণ আচার্যের বছর ষোলো পুত্রের মরদেহ যখন শ্মশান ঘাটে নিজ কাঁধে নিয়ে আসেন তখনই।
পিতার কাঁধের উপর পুত্রের মৃতদেহ , কতটুকু হৃদয় বিদারক হতে পারে সেদিন পরিলক্ষিত হলো, 26 শে ডিসেম্বর রাতটা অভিশপ্ত হয়ে থাকবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন কিশোরের পিতা মাতার কাছে ।সেদিন শিলচর হাফ লং মহা সড়কের ময়না গড়ে ট্রিপার অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা স্থলে তিন কিশোরের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয় আরেক জন কে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে বি হাড়া থেকে রবীন্দ্র নারায়ণ আচার্য শিলচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ।কিন্তু ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পরদিন ময়নাতদন্ত করে বি হাড়া নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন ।মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর অগণিত মানুষের ভিড় জমে, কে আসেন নি বিধায়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দল সংগঠনের মানুষ সমবেদনা জানাতে উপস্থিত হন ।
এই মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক ঘটনার পর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন রবীন্দ্র নারায়ণ আচার্য , গতকাল ইংরেজি নববর্ষের দিন এই প্রতিবেদকের কাছে একটি আবেদন পত্র তুলে দিয়ে বলেন যে আমার মতো সন্তান হারানোর বেদনা যেন কোনো পিতা মাতা না পান তার জন্য এধরনের দূর্ঘটনার প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন , তার জন্য জেলা বাসি র কাছে কাতর আহবান জানান যাতে সবাই সহযোগিতা করেন । তিনি মনে করেন তার এই প্রতিবাদে সবার সমর্থন থাকলে আগামী দিনে অনেক ছেলে মেয়ের পিতা মাতা সন্তান হারানোর বেদনা থেকে দূরে থাকতে পারবেন ।
তিনি আরও বলেন সেদিনের শোকাবহ ঘটনার পর যারা সমবেদনা জানাতে আসেন সেই মুহূর্তে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন নি, আজ সংবাদ মাধ্যম যোগে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।