নিজস্ব সংবাদদাতা কালাইন ২৮ শে জানুয়ারি—- এযাবত কালের সর্ব বৃহৎ কেলেঙ্কারি বললে ও কম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মাত্র তিন দিনেই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে ৫কোটি ১৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২৯৯ টাকা MGNREGA তহবিল থেকে।কাঠিগড়া বিধানসভা চক্রের জনৈক বিশিষ্ট সমাজ কর্মীর RTI এর জবাবে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা রীতিমত আতকে উঠার মতো ।
RTI এর জবাবে বলা হয়েছে ২০২১ ইংরেজীর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ মোট ৩৩ লক্ষ ৫৬হাজার ১১৮ টাকা , তারপর দুই দিন পর ২০ শে ফেব্রুয়ারি ৪কোটি ৪০ লক্ষ ২৬ হাজার ৭১৩ টাকা , তারপর আবার ২২ শে ফেব্রুয়ারি ৪৪ লক্ষ ৭ হাজার ৪৬৮ টাকা অর্থাৎ মোট ৫কোটি ১৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২৯৯ টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে । অভিযোগ কাজ সম্পন্ন না করেই এই অর্থ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে । RTI এর দুই নং জবাবে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে এই উন্নয়ন খণ্ডের স্থায়ী বিডিও নেই এখানে জনৈক পঞ্চায়েত সচিব যার বিরুদ্ধে এক গাদা অভিযোগ সেই হায়দার হোসেন বড় ভূঁইয়া যার নাকি অবসর গ্রহণের মাত্র আঠারো দিন বাকি তাঁকে বিডিও নিয়োগ করা হয় । সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই উন্নয়ন খণ্ডের হিসাব রক্ষক থাকা অবস্থায় এই সময়ে উধার বন্দ উন্নয়ন খণ্ডের হিসাব রক্ষক বিমল প্রসাদ সাউ কে এখানে অতিরিক্ত হিসাব রক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে । এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এত তাড়াহুড়া করার কি দরকার হয়েছিল যে অস্থায়ী বিডিও অতিরিক্ত হিসাব রক্ষক নিযুক্ত করার,? আর ফেব্রুয়ারি মাসের অন্তিম মুহূর্তে , বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্ মূহুর্তে কাজ সম্পন্ন না করেই এত তাড়াহুড়া করে বিশাল অঙ্কের অর্থ উঠিয়ে নেওয়া রহস্যময় বলে মনে করছেন এই সমাজ কর্মী ।
এদিকে এই তথ্য হাতে পেয়ে সমাজ কর্মী কোন কোন প্রকল্পের টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে তা জানতে আবারো আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো ও জানান এই বৃহৎ কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ দপ্তরে তদন্ত করার আবেদন করবেন । এদিকে আরেক সূত্রে জানা গেছে শূধু কালাইন উন্নয়ন খণ্ডে নয় কাছাড় জেলার প্রতিটি উন্নয়ন খণ্ডে এধরণের কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে । এদিকে সরকার সূর্য্য উদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দূর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু গ্রাম উন্নয়নের নামে যে সব কেলেঙ্কারি সংঘটিত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করা নিয়ে দল ও সরকার কে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে সচেতন মহল অনুমান করছেন ।