বিশেষ প্রতিবেদন ১লা ফেব্রুয়ারি শিলচর—- আসাম রাজ্যে একদা জাতিগত আগ্রাসন নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছিল, প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য মানুষের।যত দিন যাচ্ছে একাংশ অসমীয়া দল সংঘটনের কাছে জাতিটাই মূখ্য হয়ে গেছে,কথায় কথায় জাতীয়তাবাদী সুর পরিলক্ষিত হয়।আর বর্তমান সময়ে এটা চরম আকার ধারণ করেছে।ফলে অসমীয়া বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব এখন আর লুকিয়ে নেই । রাজনীতি বিদ গণ মূখে যত সম্প্রীতির কথা বলছেন তত যেন বেশ কিছু দল সংগঠন আরো ও বেশী করে বিদ্বেষ ছড়াতে লেগেছে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
বর্তমান সময়ে আসামের এক সংগঠন বীর লাচিতের নামে –“লাচিত সেনা” সংগঠন তৈরি করে যে ভাবে ভাষিক ও জাতিগত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে তা সম্প্রীতি বিনষ্টের নামান্তর বলে অনা অসমীয়া যেমনটা মনে করছেন ঠিক তেমনটাই মনে করছেন অধিকাংশ সচেতন অসমীয়া মহল। এই লাচিত সেনা বীর লাচিতের আদর্শের পরিপন্থী কাজ করে যাচ্ছে । প্রতিটি বিষয়ে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে যা কিনা একটি সরকারের গৃহ মন্ত্রণালয় কে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে সচেতন মহল মন্তব্য করেছেন।
অতি সম্প্রতি মায়ঙ কলেজের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে লাচিত সেনা জাতির ও ভাষার বিষয়ে কোনো আপস করতে চায় না, তাদের আচরণে মনে হয় আসাম অসমীয়া দের আসামের ভাষা অসমীয়া এখানে বাংলা ভাষা চলবে না , কিন্তু তাদের সংগঠনের যারা উপদেষ্টা তাদের বোধহয় জানা নেই যে বাংলা ভাষা রাজ্য সরকার কতৃক স্বীকৃত,যাই হোক সেদিনের ঘটনার পর সমগ্র আসামে তীব্র প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বাঙালি সংঘটনের নেতারা। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আজ বরাক উপত্যকার বাঙালি নব নির্মাণ সেনার কাছাড় জেলা কমিটি বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বাঙালি রাজনৈতিক দল গঠনের উপর মত পোষণ করে। ।
গতকাল আসাম সরকার লাচিত সেনা নামক সংগঠনের মোট ১২ জন সদস্য কে গ্রেফতার করে সাময়িক ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান একাংশ জনগণ । এদিকে সচেতন মহল অনুমান করছেন এভাবে বিদ্বেষী মনোভাব সৃষ্টি হলে আখেরে অসম বাসীর কাছে এটা হবে এক অশনি সংকেত, বহিঃ শত্রু মাথাচাড়া দিয়ে যে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।