বিশেষ প্রতিবেদন ১২ ই ফেব্রুয়ারি শিলচর—— সম্প্রতি বার্মিজ সুপারী নিয়ে সামাজিক মাধ্যম সহ বৈদ্যুতিক মাধ্যম গূলি প্রতিদিন সংবাদ পরিবেশন করে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ বার্মিজ সুপারীর মধ্যে নিবন্ধন করে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে। এই বার্মিজ সুপারীর বেশ কিছু ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার ও হয়েছেন।এখন প্রশ্ন হচ্ছে সুপারীর ব্যবসা কি অবৈধ? যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে সূদূর বার্মা থেকে আসামের মাটিতে কি ভাবে প্রবেশ করে,তা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে বরাক উপত্যকার ছোট ছোট ব্যবসায়ী যারা বংশানুক্রমিক ভাবে স্থানীয় সুপারী ব্যবসা করে আসছেন তারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে আসাম রাজ্যের কৃষি বিপণন বিভাগ সুপারী ব্যবসার জন্য লাইসেন্স প্রদান করে থাকে, আসামের সুপারী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে হলে মার্কেটিং বোর্ড কর্তৃক কর সংগ্রহ করা হয়, সেইমতো সুপারী ব্যবসা বৈধভাবে করার সুযোগ সরকার করে দিয়েছে, কিন্তু সেই পথে কেউই যেতে চান না বলে জানিয়েছেন কৃষি বিপণন বিভাগের এক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি বার্মিজ সুপারীর এক ব্যবসায়ী কে এই প্রতিবেদক বললেন আপনারা কেনো অবৈধ ভাবে বার্মিজ সুপারীর ব্যবসা করছেন ? উত্তরে এই ব্যবসায়ী বললেন দরুন আপনার একটি লরী আছে লরীটির সব কাগজপত্র ঠিক আছে এবং লরীতে থাকা সামগ্রীর ও কাগজপত্রে গরমিল নেই তথাপি রাস্তায় থাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গেইটে উৎকোচ দিতে হবে ,ঠিক তদ্রুপ আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স দিয়ে বার্মিজ সুপারীর ব্যবসা বৈধভাবে করার জন্য এগোতে গেলেই এইসব চেকগেইট গূলিতে ও উৎকোচ দিতে হবে না হলে বিভিন্ন ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হবে ।কারন দীর্ঘদিন ধরেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই ব্যবসা চলছে এখন নূতন করে আমদানি শুল্ক দিয়ে বার্মিজ সুপারীর ব্যবসা বৈধভাবে করতে হলে আগের মতই যদি উৎকোচ দিতে হয় তাহলে লাভটা কী হবে ব্যবসা করে।তাই বৈধভাবে বার্মিজ সুপারীর ব্যবসা কেউই করতে চান না বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী। এই প্রতিবেদক বেশ কিছু ব্যবসায়ী দের সাথে আলাপ করলে সবাই এক কথা বললেন এই অবৈধ ব্যবসার মূল রহস্য ।