বিশেষ প্রতিবেদন ২১ শে ফেব্রুয়ারি শিলচর — আসামের সর্ব কালের সর্ব সেরা মূখ্যমন্ত্রী ড হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কে বললে অত্যুক্তি হবে না বলে জানিয়েছেন একাংশ সমাজ সেবী ।এই প্রতিবেদক কে বেশ কিছু নিরপেক্ষ সমাজ সেবী বলেন আসামের পঞ্চদশ মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ২০২১ ইংরেজীর ১০ ই মে মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করে এমন সব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তা এর আগের কোনো মূখ্যমন্ত্রী হাতে নিতে সাহস করেননি।
মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেসব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলো ড্রাগস নির্মূল অভিযান, বিচক্ষণ মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই অভিযানে ৯০% সফল হয়েছেন,আর সবচাইতে বেশি খুশি হয়েছেন সেই সব মানুষ যাদের ঘরে সর্বনাশা ড্রাগসের প্রভাব পড়েছিল। এখানে উল্লেখ্য যে এই ড্রাগস সেবনের ফলে লাখ লাখ যুবক যুবতী তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নষ্ট করেছে,কত পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করেছিল,আজ এই ড্রাগস অভিযানের ফলে অন্ততঃ সেই সব পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এমনটাই জানিয়েছেন ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা।এরপর যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তা হলো মেধার ভিত্তিতে চাকরীর ব্যবস্থা করা। এখানে উল্লেখ্য যে বিগত সরকারের আমলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনিই একমাত্র মাত্র মন্ত্রী যিনি বিনাপয়সায় লাখ লাখ বেকার যুবক যুবতী দের চাকরি প্রদান করেছেন।আর যে সকল যুবক যুবতী চাকরি পেয়েছেন সার্বিকভাবে তাদের পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এবারে মূখ্যমন্ত্রী হয়ে সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা বিভাগের চাকরি প্রদান করা হয়েছে।এই দুই পদক্ষেপ সবচাইতে বেশি মানুষের মনে দাগ কেটেছে।
এদিকে অন্যান্য পদক্ষেপ আংশিক ভাবে সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটেছে বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে।যেমন অনলাইন পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিভাগের লাইসেন্স নবায়ন ও নবীকরন সহ যে সব ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন তার সুফল নিয়ে সাধারণ মানুষ উৎফুল্লিত নন। তাদের মতে যতক্ষন কার্যালয়ের বাবুদের সেই পূরানো আদত না পাল্টাবে ততক্ষণ অনলাইন পদ্ধতি বাস্তবে রূপান্তরিত হবে না । এদিকে একাংশ সমাজ সেবী বলেছেন সরকার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ এবং পঞ্চায়েত বিভাগের লাগাম টানতে উদাসীন কেন? তাদের মতে যতক্ষন পর্যন্ত ২০১১ ইংরেজীর আর্থ সামাজিক ও জাতিগত সমীক্ষা তালিকা বাতিল করে সরাসরিভাবে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে তৈরি না করা হবে ততদিন গরীব মানুষ সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পাবেন না। এখানে উল্লেখ্য যে প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ যে সকল গরীব মানুষ পাওয়ার কথা তারা কিন্তু পাচ্ছেন না, তা ছাড়া কৃষি লোন,জব কার্ড যাদের নামে আছে তাদের ৯০% শতাংশ স্বচ্ছল ও চাকরি জীবি পরিবার ।
এদিকে আগামী ১০ ই মে ২০২২ ইং মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক বছর পূর্ণ করবেন,এই বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এই সব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সমাজ সেবী গন মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরতে এই প্রতিবেদক কে অনুরোধ করেন।