বিশেষ প্রতিবেদন ২৭ শে ফেব্রুয়ারি শিলচর—- দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ কয়লা, অবৈধ বার্মিজ সুপারীর সংবাদ শূনতে শূনতে বরাক উপত্যকার সুশীল সমাজের কান ভারী হয়ে গেছে। প্রশ্ন তুলেছেন সুশীল সমাজ,যদি অবৈধ কয়লা,, অবৈধ বার্মিজ সুপারী হয়ে থাকে তাহলে ভিন রাজ্য থেকে কী ভাবে এগুলো আসামের বরাক উপত্যকায় ঢূকে পড়ে তার চূলছেড়া বিশ্লেষণ করা দরকার। এদিকে সরকারি ভাবে আসাম মেঘালয় ও আসাম মিজোরাম সীমান্তে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে, অবৈধ ব্যবসা রুখতে বাস্তবে হচ্ছে ঠিক তার উল্টো ,তার জলন্ত উদাহরণ সম্প্রতি বার্মিজ সুপারী বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা।
এদিকে কয়লার ও ময়লা। যেন ছেড়ে যেতে চাইছে না, প্রতিদিন সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে শতাধিক কয়লা বোঝাই ট্রাক বরাকে প্রবেশ করছে ,এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে , কয়লা ব্যবসা যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে আসাম মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত দিগর খাল এলাকায় থাকা চেকপোস্ট গূলো কিসের জন্য বসানো হয়েছে। এই চেক পোস্ট কিভাবে অতিক্রম করে তা ঈশ্বর ছাড়া কেউই বলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন একাংশ স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা প্রকাশ্য ভাবে বলছেন এই চেক পোস্ট গুলো একেকটা সোনার হরিণ , তারা বলেন সত্যি সংবাদ পরিবেশন করা হয়, কিন্তু এসব করে লাভ হয় তাদের যারা এই গাড়ী পারাপারের অঘোষিত এজেন্ট। জানা গেছে ভাগ বাটোয়ারা নাগপুর থেকে দিসপুর পর্যন্ত পৌঁছায় ।
এখানে উল্লেখ্য যে এই সব চেক পোস্ট এলাকার মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন সরকারের এই ঠাকুর ঘরে কে কলা খাচ্ছি না এমন ভাব দেখে। যে কোনও সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই সব অবৈধ ব্যবসা সরকারের মদত ছাড়া কোনো ভাবে চলতে পারে না বলে বুঝে গেছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে সরকার বৈধ ভাবে বার্মিজ সুপারী ও কয়লা ব্যবসা করার নির্দেশিকা তৈরি করার কথা বললে ও আজ এক মাস অতিবাহিত হতে চলেছে তার কোনো সাড়া মিলছে না । এই বিলম্ব নিয়ে ও সরকারের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে । এদিকে বৈধ ভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না একাংশ ব্যবসায়ী ,বৈধ ভাবে করতে হলে ও চেক পোস্ট গুলোর ঝামেলা পোহাতে হয় । এই সব বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।