শিলচর থেকে অজিত দাসের প্রতিবেদন ৯ ই মার্চ– এমনটাই মনে হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা,২০১৬ ইংরেজীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশয় আসাম রাজ্য কে পার্বত্য রাজ্য হিসেবে মর্যাদা প্রদান করার সুপারিশ করেছেন সে সময়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এই খবর চাউর হয়েছে। কিন্তু সেই সময় ধর্মান্ধ বুদ্ধিজীবী গন এসবের গুরুত্ব দিতে মোটেও রাজী ছিলেন না। বিশেষ করে বাংলা ভাষী বুদ্ধিজীবী গন তখন হিন্দু মুসলিম নিয়ে মশগুল ছিলেন। এরপরই এন আর সি নিয়ে আবারও আরেক প্রস্ত বিভাজিত হলেন এই দুই বঙ্গ বাসী বুদ্ধিজীবী গন।ফলে যা হওয়ার হয়ে গেছে সেটা নিয়ে দুই বাঙালি দুই মেরুতে অবস্থান করছেন এখন ও।
বাঙালি বুদ্ধিজীবী গনের একটাই মূদ্রা দোষ তারা সব কিছু বেশি করে বুঝেন,যেমনটা তারা একসময় বলেছেন আসাম চুক্তি রামায়ন মহাভারত নয় যে এটা বদলানো যাবে না, তাদের এই স্বভাব জাত কথা শুনে অসমীয়া ভাষী বুদ্ধিজীবী গন তখন মুচকি হেসেছিলেন। বঙ্গ বাসী বুদ্ধিজীবী গন প্রায় সময় বলেন আসামে কারা খিলঞজিয়া তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি সেখানে এসব কথা কি ভাবে আসে। কিন্তু তাদের এই স্বভাব জাত কথা কে শুনে , সরকার এক এক করে আসাম চুক্তি রূপায়ণ বিভাগ গঠন করেছে আর সম্প্রতি খিলঞজিয়া এবং জনজাতিয় বিশ্বস এবং সংস্কৃতি বিভাগ গঠন করে সেই সব সম্প্রদায়ের মানুষদের নাম পঞ্জিকরন করতে তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের মাধ্যমে রীতিমত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে ।এসব বিজ্ঞাপন বিভাজিত দুই বাঙালি বুদ্ধিজীবী গন যারা ধর্মের চশমা পড়ে আছেন তাদের নজরে এসেছে কি? এসব জানতে এই প্রতিবেদক কে প্রশ্ন করেছেন সাধারণ মানুষ।
এখানে উল্লেখ্য যে এই বিজ্ঞাপনে যে সব কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে খিলঞজিয়া শব্দের পূর্বে নৃত্য তাত্বিক জুড়ে দিয়ে সেইসব বঙ্গ বাসী বুদ্ধিজীবী দের মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে, যেমনটা কান টেনেছে মারেনি এর মতো ।এই বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে যারা খিলঞজিয়া যাদের সংস্কৃতি নৃত্য তাত্বিক ও জনজাতীয় লোক বিশ্বাস এবং জনজাতীয় সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারের জন্য নিয়োজিত এবং জনজাতিয় পরম্পরায় বিশ্বাসী তাদের নাম পঞ্জিকরন করতে বলা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের কথায় কাজে কোনো হেরফের যে নেই তা এই খিলঞজিয়া এবং জনজাতিয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতি বিভাগ গঠন করে দেখিয়ে দিয়েছে। তাহলেই কি এটাই পার্বত্য রাজ্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার শেষ পেরেক?