বিশেষ প্রতিবেদন ১৩ ই মার্চ শিলচর— সদ্য সমাপ্ত পৌর সভা নির্বাচনের ফলাফল একটাই ইঙ্গিত প্রদান করেছে আসামে বিরোধী দলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, এমনটাই জানিয়েছেন একাংশ বুদ্ধিজীবী মহল। এই প্রতিবেদক কে একাংশ নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী গন তাদের মতামত তুলে ধরে বলেন যে বর্তমান সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ জনসাধারণ মেনে নিয়েছেন নাহলে পৌর সভা নির্বাচনে তার প্রভাব বিস্তার করত, সমগ্র আসামের পৌর সভা নির্বাচনের ফলাফল বিরোধী দল কে হতাশ করে দিয়েছে। বিচক্ষণ মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের বলতে গেলে একক পদক্ষেপ রাজ্য বাসী মেনে নিয়েছেন নাহলে এভাবে পৌর সভা নির্বাচনে বিরোধী দল পর্যুদস্ত হয়তো হত না।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এক দেশ এক কর,এক দেশ এক রেশন কার্ড,এক দেশ এক ভোট ব্যবস্থা যদি কার্যকর হয়ে যায় তাহলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিরোধী দলের সরকার যে হবে না তার আভাস বাতাসে উড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর সর্বত্র একটাই কথা শুনা যাচ্ছে তাহলে কি আগামী দিনে আবারও কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার বিজেপি দলের হবে,? এখানে উল্লেখ্য যে কেন্দ্র সরকার এক দেশ এক ভোট ব্যবস্থা চালু করলে স্বাভাবিকভাবেই যে দল ক্ষমতায় থাকবে সেই দলের জয়ের পথ সুগম হবে। এদিকে সব কিছু এক দেশ এক ব্যবস্থা হয়ে যায় এবং তার সাথে যদি এক দেশ এক নাগরিকত্ব আইন শুধুমাত্র আসাম রাজ্যের জন্য কার্যকর করে দেওয়া যায় তাহলে আসামের গদী আগামী বিশ বছরের জন্য পাকা পোক্ত হয়ে যাবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখানে উল্লেখ্য যে একমাত্র নাগরিকত্ব সমস্যা শুধু আসামে রয়েছে এই বিষয়ে মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কি করেন তার অপেক্ষায় আছেন সাধারণ মানুষ। এক বিশেষ সুত্রে জানা নাগরিকত্ব সমস্যা জিইয়ে রেখে আসামের রাজনৈতিক পাশা খেলা চলবে।
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কতটুকু সফল হবে তা নিশ্চিত নয় তথাপি বিরাট অংশ সেই আশা নিয়ে চেয়ে আছেন, আগামী লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকা যদি বিদেশি মুক্ত হয়ে যায় তাহলে আসামের রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানিয়েছেন একাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।