শিলচর থেকে অজিত দাসের প্রতিবেদন ১৬ই মার্চ—– বার বার আসাম ভাষা সংশোধনী আইন ১৯৬১ লঙ্ঘন করে আসাম সরকার বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষী দের তেতিয়ে দিতে কার্পন্য করছে না বলে মনে হচ্ছে। যেখানে বরাক উপত্যকার সরকারী ভাষা বাংলা সেখানে একরকম জোর করেই অসমীয়া ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রবনতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।বেশ কয়েক মাস আগে বাংলা ভাষার সাইনবোর্ড নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে, তথাপি আসাম সরকার হাল ছাড়ছে না,একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবেই আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ছাত্র ছাত্রী দের শুভেচ্ছা জানিয়েছে কিন্তু বরাক উপত্যকায় যে সকল ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে ইংরেজি ভাষার সাথে বাংলা ভাষার পরিবর্তে অসমীয়া ভাষাকে যুক্ত করে শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়টি নিয়ে বরাক উপত্যকার সুশীল সমাজ মনে করছেন এই ধরনের ব্যানার টাঙ্গিয়ে আগুনে যেমন ঘি ঢালা হলো। এই ব্যানার নিয়ে বাংলা ভাষী সংগঠন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।আজ সারা আসাম বাঙালি যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা এই প্রতিবেদক কে বলেছেন ১৯৬৬ ও ১৯৮৬ ইংরেজীতে এই বাংলা ভাষার জন্যে মোট ১৩ জন প্রতিবাদ কারী শহীদ হয়েছেন,ভাষা শহীদদের উপত্যকায় এই ধরনের ব্যানার টাঙ্গিয়ে সেই সব শহীদদের অপমান করা হয়েছে বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আজ সারা আসাম বাঙালি যুব ও ছাত্র সংগঠনের কাছাড় জেলা নেতারা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের কাছে এক স্মারকলিপি কাছাড় জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে তুলে দিয়ে তাদের প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছেন। এই সংগঠনের নেতারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন যে বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষা নিয়ে কোনো ধরনের আপোষ করবেন না প্রয়োজনে গনতান্ত্রিক ভাবে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে পিছপা হবে না এবসো কাছাড় জেলা কমিটি।