DIGITAL

June 10, 2023

APTCE 18538973148

বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মিলনী নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদন ১৮ ই মার্চ শিলচর—- আসামের প্রতিটি জাতি ও সম্প্রদায়ের নিজ নিজ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সমিতি আছে, সেই সব সাহিত্য সভা ও সমিতি তাদের সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি এবং তাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে সরব হতে দেখা গেলেও আমাদের বরাক উপত্যকার বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মিলনী কেনো সরব হয় না তা নিয়ে আজ জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে।

আজ এই প্রতিবেদক কে শিলচরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী বলেছেন আসাম সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে  ভাষা বিতর্ক সৃষ্টি করে বরাক উপত্যকার জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে,যেমন অতি সম্প্রতি আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে, কিন্তু বরাক উপত্যকার সরকার স্বীকৃত ভাষা বাংলা থাকা সত্ত্বেও অসমীয়া ভাষার ব্যানার প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে টাঙ্গিয়ে ভাষা বিতর্ক উস্কে দিয়েছে,এই ব্যানার নিয়ে সর্বপ্রথম বিডিএফ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারপর সারা আসাম বাঙালি যুব ও ছাত্র সংগঠন সহ আরও অনেক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজ বিডিএফের ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবাদে আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পিছু হটে বাংলা ভাষার ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,আজ এই মর্মে বিডিএফ সংগঠনের প্রধান কে চিঠি পাঠিয়েছে। আর এতেই আলোচনার সুত্রপাত হয়েছে ।

এই নিয়ে আজ বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মিলনী কাছাড় জেলা কমিটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, তাদের মতে এই ভাষা বিতর্ক নিয়ে বিডিএফের চাইতে বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মিলনী সরব  হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু এখানে দেখা গেছে যে কাজের জন্য এই সমিতি গঠন করা হয়েছিল তারা কিন্তু সাথে পাচে নেই, বরং নব গঠিত বিডিএফ এই সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মিলনীর দায়িত্ব পালন করছে এমনটাই জানিয়েছেন একাংশ সমাজ সেবী ও সাহিত্য প্রেমী গন। তারা আরও জানান বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষদের অস্তিত্ব যখন বিলুপ্ত হতে চলেছে সেই সময় এই জাতির সাহিত্য সমিতির কর্মকর্তারা  নীরবে নিভৃতে পদ আঁকড়ে ধরে বসে আছেন, সেই এক যুগ আগের কর্মকর্তারা আজ ও বহাল তবিয়তে আছেন,নূতন করে সমিতির পরিমন্ডল বৃদ্ধি করতে চাইছেন না । একদিকে যখন বিদেশি নোটিশ,ডি ভোটার সমস্যা নিয়ে বাংলা ভাষী জনসাধারণ গন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তখন ও এই সমিতি সরব হতে দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সুনাগরিক গন, তাদের মতামত থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে কালক্রমে বিডিএফ বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মিলনীর দায়িত্ব নিতে চলেছে  । এমনটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে পরিস্কার করে দিলেন জনৈক সাংবাদিক।