বিশেষ প্রতিবেদন ২৯ শে মার্চ শিলচর– সেই ১৯৮৫ ইং থেকে আজ অবধি বিদেশি সনাক্ত করন আদালতের একটাই বিধি মোতাবেক বিদেশি সনাক্ত করা হচ্ছে । আসাম চুক্তি স্বাক্ষর করার পর সংবিধানের (৬) এ ধারা অনুযায়ী বিদেশি সনাক্ত করন আদালতের বিধি প্রণয়ন করা হয় আর সেই অনুযায়ী বিদেশি সনাক্ত করন আদালত রায় ঘোষণা করে আসছে।
এখন পর্যন্ত যাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সবাই কিন্তু ১-১-১৯৬৬ থেকে ২৪-৩-১৯৭১ ইংরেজীতে আসাম রাজ্যে প্রবেশ করেছেন।এই প্রতিবেদককে জনৈক ব্যক্তি দেখিয়েছেন বিদেশি সনাক্ত করন আদালতের একটি রায়ের কপি, সেই রায়ের কপিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যেহেতু তিনি ১৯৬৬ ইংরেজির মে মাসে কাছাড় জেলার বড়খলা থানার অন্তর্গত ধল ছড়াতে এসেছেন তাই তাকে Stream line Foreigners হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে সীমান্ত পুলিশের কার্যালয়ে গিয়ে নাম পঞ্জিকরন করতে বলা হয়েছে। অবশ্য এই ব্যক্তি যথাসময়ে সীমান্ত পুলিশের কার্যালয়ে গিয়ে নাম পঞ্জিকরন করেন, এরপরই ভোটার তালিকায় তার নাম কর্তন করা হয়। অবশ্য চুড়ান্ত এন আর সি তে তার নাম পঞ্জিকরন হবে।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় দশ বছরের জন্য ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করা হয়েছিল কিন্তু আজ ২৫ বছর পর ও তার এবং পরিবারের কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় নি। ফলে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে এই সময়ের মধ্যে যারা আসাম রাজ্যে প্রবেশ করেছেন তাদের ও এভাবেই নূতন করে চিহ্নিত হতে হবে যার জন্য রাজ্যে নূতন করে দুই শত বিদেশি সনাক্ত করন আদালত খোলা হয়েছে।
এদিকে যারা ভাবছেন আসামে শুধু মাত্র হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ বিপদে পড়বেন তা ১০০% ভূল প্রমানিত হবে। কারন ১-১-১৯৬ থেকে ২৪-৩-১৯৭১ ইং পর্যন্ত আসাম রাজ্যে প্রবেশ করা সবাইকে বিদেশি সনাক্ত করন আদালতে হাজির হয়ে স্বীকার করতে হবে যে আমি এই সময় ছোঁয়ায় আসাম রাজ্যে প্রবেশ করেছি। এখানে উল্লেখ্য যে এই সময়ে শুধু হিন্দু বাঙালি নন এই সময় ছোঁয়ায় আসাম রাজ্যে প্রবেশ করেছেন কোচ রাজ বংশী,গারো,রাভা সম্প্রদায়ের মানুষ যাদের হাতে আছে নাগরিকত্ব প্রমানের একমাত্র নথি শরণার্থী কার্ড এই কার্ড কে এন আর সি তে মান্যতা প্রদান করা হয় নি, ফলে বাঙালি ছাড়া উল্লেখিত সম্প্রদায়ের মানুষ ও আধার কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভাবছেন আমরা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছি , সূত্রে জানা গেছে আসাম চুক্তি সম্পর্কে এই সম্প্রদায়ের নেতারা সম্যক অবগত আছেন, ফলে প্রায় সময়ই তাদের নেতা ও আইনজীবীদের কে ভাষিক সংখ্যালঘুদের কে পরামর্শ দিতে দেখা যায় ।
পরিশেষে একটি কথা বলা দরকার এক দেশ এক আইন ভারতে লাগু হলেও নাগরিকত্ব নিয়ে আসামে আলাদা আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে যা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আসাম চুক্তির (ছয়) নং দফা মোতাবেক আইন তৈরি করেছে। তাই আসামে কে ভারতীয় আর কে বিদেশি এবং কে অনুপ্রবেশ কারি তা নির্ণয় করবে আসাম চুক্তির ছয় নং দফা।