লক্ষ্মীপুর থেকে অসীম রায় ৩১ শে মার্চ—- বোয়ালী চেংজুর জিপি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক আজমল হোসেন লস্কর কে তথ্য জানার অধিকার আইনে যে সব তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা রীতিমত অবাক করার মতো। চতুর্দশ ও পঞ্চদশ পরিকল্পনায় এই জিপি এলাকায় যে সব প্রকল্প দেখানো হয়েছে তা চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আজমল হোসেন লস্কর। এই সব বিষয় জনগণকে অবগত করতে বুধবার ৩০ শে মার্চ বোয়ালী চা বাগানের নাচ ঘরে এক প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আজমল হোসেন লস্কর এই জিপি সহ সমগ্র লক্ষ্মীপুর মহকুমার অধীনে থাকা প্রতিটি জিপি তে ভূয়া প্রকল্পের কাজ দেখিয়ে লক্ষ্ লক্ষ্ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে আর টি আই এর কপি সভায় তুলে ধরেন।এই সব তথ্য দেখে শাসক দলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে জিপি সভানেত্রী অনিতা কানুর বিরুদ্ধে উপস্থিত বিজেপি দলের কর্মী সমর্থক গন ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই প্রতিবাদী সভা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিন্নাকানদি উন্নয়ন খন্ড কার্যালয়ে গিয়ে ধর্নায় বসেন প্রতিবাদ কারি গন ।
এই প্রতিবাদী সভায় উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবী শ্যাম সিংহ, আজমল হোসেন লস্কর,রীনা কল,রবি রাম মাঝি প্রমূখ। গতকালের সভায় বিশাল আকারে জিপি বাঁচাও নির্ণায়ক কমিটি নামে এক মজবুত কমিটি গঠন করা হয়।এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে আজমল হোসেন লস্কর কে , এখানে উল্লেখ্য যে সমগ্র লক্ষ্মীপুর বিধানসভা চক্রের প্রতিটি জিপি তে ভূয়া প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বচ্ছ প্রসাশনের কথা বলে এই ধরনের অর্থ আত্মসাৎ করা সরকারের দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে কাঠিগড়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন জনৈক আর টি আই কর্মী সমগ্র কাছাড় জেলার প্রতিটি উন্নয়ন খন্ডের চতুর্দশ ও পঞ্চদশ পরিকল্পনায় কোন জিপি তে কি কি কাজ হয়েছে জানতে চাইলে তাকে জানানো হয় গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখার জন্য।আর টি আই কর্মী তাকে বলেন সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় না থাকলে এই ধরনের উত্তর দেওয়ার সাহস হতো কি? এক কথায় রাজ্য সরকারের গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের লাগাম ছাড়া দূর্নীতি প্রতিরোধ ক্ষমতা সরকারের আছে বলে মনে হয় না।