শিলচর থেকে অজিত দাসের প্রতিবেদন ১৮ ই এপ্রিল শিলচর—– ২০২২ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগামী মে মাসের ৪ ঠা তারিখ থেকে ২৮ শে মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসাম মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ ।এই সময়ে বরাক উপত্যকা সহ ব্রহ্ম পুত্র উপত্যকার বাংলা ভাষী মানুষের আবেগ বিজড়িত রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী ও ভাষা শহীদ দিবস অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, অর্থাৎ ৯ ই মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিবস এবং ১৯ শে মে ভাষা শহীদ দিবস।
আসাম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ কতৃক এই দুই দিবস পরীক্ষা কার্য সুচীতে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিশেষ করে বাংলা ভাষী জনগনের ভাবাবেগের উপর আঘাত করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা,বিগত কয়েক বছর ধরে ইচছামূলক ভাবে এই দুই দিবস পালন করতে পারছেন না বাংলা ভাষী ছাত্র ছাত্রী গন। অনেক সময় দেখা গেছে এই সময়ে একাডেমিক ক্যালেনডারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো নির্দেশ প্রদান করা হয় না বা এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাংলা ভাষী সুশীল সমাজের সমাজ সেবী গন সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত কে বৈষম্যের নামান্তর বলে মনে করছেন।
মাস খানেক আগে বরাক উপত্যকার লক্ষ্মীপুর বিধানসভা চক্রের বিধায়ক কৌশিক রাই মহাশয়ের কাছে বঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলনের লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক কমিটির সদস্যরা দেখা করে এই দুই দিবস পালন করতে একাডেমিক ক্যালেনডারে বন্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন,সেই মতো মাননীয় বিধায়ক কৌশিক রাই মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের কাছে বিষয়টি বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান, সূত্র মতে মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই দুই দিবসের গুরুত্ব বিবেচনা করে একাডেমিক ক্যালেনডারে ছুটির দিন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই সময়ে আসাম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার সাহস কোথা থেকে পেলো তা নিয়ে বিধায়ক কৌশিক রাই মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সুশীল সমাজের সমাজ সেবী গন। তাহলে কি বাংলা ভাষী জনগনের ভাবাবেগ বিজড়িত এই দুই দিবস নিয়ে ছেলেখেলা চলছে কি? এভাবেই মন্তব্য শুনা যাচ্ছে।
এই দুই দিবসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত কে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না সারা বাঙালি যুব ছাত্র সংস্থার কাছাড় জেলা কমিটি।আজ এই সংস্থার সদস্যরা আসাম মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশক মহাশয়ের কাছে এক স্মারকলিপি প্রদান করে এই দুই দিবসের পরীক্ষা বাতিল করার অনুরোধ জানান,আজ এই সংস্থার সদস্যরা অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে তাদের মতামত সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন। তাদের মতে বরাক উপত্যকার ৯০% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা আর সেই ভাষার আবেগ বিজড়িত দিনে পরীক্ষা নেওয়া সম্প্রীতির পরিপন্থী বলে সমাজে বিবেচিত হতে চলেছে।এই বিষয়ে বরাক উপত্যকার বিধায়ক দের মৌনতা সম্মতির লক্ষণ বলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। আজকের এই স্মারকলিপি প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে রাজু দেব ও রাজীব দাস সহ অন্যান্য সদস্যরা।