বিশেষ প্রতিবেদন ২১ শে এপ্রিল শিলচর—– আবারও প্রমাণ করে দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী , যে বিজেপি দল প্রতিশ্রুতির খেলাপ করে না ।বিগত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে যোগী আদিত্য নাথ বলেছিলেন আপানারা যারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে আমার উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছেন তারা যদি বিজেপি দলের প্রার্থী গন কে নির্বাচিত করেন তাহলে সবাইকে জমির কাগজ দিবেন ।
যোগী আদিত্য নাথের কথামতো এই উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের ভোটার গন হাত উজাড় করে বিজেপি দলের প্রার্থী গন কে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। দ্বিতীয় বার মূখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর যোগী আদিত্য নাথ নির্বাচনের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতোই মোট ৬৩ উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি পরিবারের মানুষদের জমির কাগজ প্রদান করে হিন্দি বলয়ে এক ইতিহাস রচনা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পূনর্বাসন পেয়েছিলেন কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় দশকের পর দশক ধরে এইসব উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষদের এইসব রাজ্য গুলিতে বিভিন্ন ধরনের হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, কোনো কোনো রাজ্যে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, জমির কাগজ পত্র পর্যন্ত তাদের কে দেওয়া হয় নি এক কথায় বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ বলে তাদের কে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে এই সব উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই যাযাবর জীবন যাপন করে আসছেন অর্থাৎ বৈধ জমির কাগজ পত্র তাদের ছিলোনা। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি দলের এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতের ইতিহাসের পাতায় স্থান পেলো বলে মনে করছেন সচেতন মহল। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্য নাথ যদি এই পদক্ষেপ নিতে পারেন তাহলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও বাদ যাবেন কেন ? তিনি ও এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করুন বলে দাবি করেছেন উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ।