নিজস্ব সংবাদদাতা ২৬ শে মে শিলচর—- জনপ্রতিনিধিদের খামতি পূরন করতে কাছাড় জেলার ব্যতিক্রমি জেলা শাসক কীর্তি জলি মহাশয়া যে ভাবে কাছাড় জেলার প্রতিটি বন্যা প্লাবিত প্রত্যন্ত অঞ্চল জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিদর্শন করছেন তা রীতিমত অবাক করার মতো ঘটনা। যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে জনপ্রতিনিধিদের এই সব প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাওয়ার কথা সেখানে আমলা দের উপস্থিত হয়ে খোঁজ খবর নেওয়া জনপ্রতিনিধি দের কর্তব্য পালনের খামতি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
গতকাল কাছাড় জেলার বড়খলা বিধানসভা চক্রের নীচু এলাকা যে গুলো প্লাবিত হয়েছে সেই স্থান গুলো সরজমিনে পরিদর্শন করতে জেলা শাসক কীর্তি জলি বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক দের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামেন। তিনি বন্যা প্লাবিত গ্রাম গুলির ক্ষয় ক্ষতি পরিদর্শন করে বলেন যে রাজস্ব চক্রের পাটোয়ারী গন সরজমিনে ক্ষয় ক্ষতি নিরূপন করে তালিকা তৈরি করবেন। জেলা শাসক এই এলাকায় কিভাবে জল ঢুকে পড়ে তার জন্য তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী একশন প্লানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেন, তিনি বলেন বন্যার জল সরে গেলে রিভিউ মিটিং গুলিতে এই সব তথ্য তুলে ধরে বিহিত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে বন্যা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পরিদর্শন শেষে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ নগর এলাকায় একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করতে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক দের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে মঙ্গলবার বড়খলা বিধানসভা চক্রের শালচাপড়া উন্নয়ন খন্ড এলাকার বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। গতকাল বন্যা প্লাবিত বড়খলা বিধানসভা এলাকার বন্যাক্রান্ত লোকজন দের মধ্যে জল পরিশোধক সামগ্রী নিজ হাতে তুলে দেন জেলা শাসক কীর্তি জলি মহাশয়া।
জেলা শাসক কীর্তি জলি মহাশয়া জনপ্রতিনিধি দের খামতি পূরন করছেন বলে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে কাঠিগড়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন ব্রহ্ম পুত্র বোর্ডের অপরিকল্পিত স্লুইসগেট নির্মাণ বিষয়ে জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।