নিজস্ব সংবাদদাতা গুয়াহাটি ৩১শে মে —- নীচের বিদেশি নোটিশটির বয়ান দেখে মনে হচ্ছে ১-১-১৯৬৬, থেকে ২৪-৩-১৯৭১ ইংরেজীতে আসাম রাজ্যে প্রবেশ করা এবং এই সময়ের পর আসা সবাইকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমানের জন্য বিদেশি ন্যায়াধিকরন গুলোতে হাজিরা দিতে হবে যাবতীয় নথি পত্র নিয়ে। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
নীচের নোটিশ টি নগাও জেলার ৩ নং বিদেশি সনাক্ত করন আদালত জারি করেছে,,এই নোটিশ জনৈক নেপাল মন্ডল পিতা মৃত মোহন বাঁশি মন্ডল ঠিকানা তুষার বান্দা থানা রূপহী হাঠ এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।নোটিশের বয়ানে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা রীতিমত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে সরকার মূখে বলছে এক কথা আর করছে ঠিক তার উল্টো টা, অনেকেই বলছেন এই সময়ের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে প্রাণের তাগিদে ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন বিরাট আশা নিয়ে, কিন্তু ভাষিক জাতীয়তাবাদের করাল গ্রাসে আজ সেই সব উদ্বাস্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের আশা লীন হয়ে গেছে। সুত্রে জানা গেছে ঐ সময়ে আসা উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতের একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া যেখানেই পুনর্বাসন পেয়েছিলেন কোথাও তারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন না, সবসময় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
আসামের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে,এন আর সি র মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিক চিহ্নিত করতে যে সব নথি পত্র জমা দিয়েছেন সেটা এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগেই আইন প্রনয়ণ করে বলেছে আসাম রাজ্যে কে ভারতীয় আর কে বিদেশি তা নির্ধারন করা হবে আসাম চুক্তি মোতাবেক। তথাপি হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষদের যেন সম্বিৎ ফিরছে না ।এই নিউজ পোর্টাল বারবার সংবাদ পরিবেশন করার পর ও হিন্দু বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও নেতারা মানতে রাজি হননি বরং সবাই বলেছেন ২৪-৩-১৯৭১ ইং পর্যন্ত আসা মানুষ সবাই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন আর এরপরে আসা মানুষCAA এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত অনেক বিশিষ্ট জনেরা বলছেন কিছু হবে না, কিন্তু দুঃখের বিষয় যে দল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের কথা সবসময়ই বলে আসছে সেই দল ও সরকারের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে ,কেন শুধু শুধু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিদেশি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে?
এই প্রতিবেদক আগে ও বিদেশী নোটিশের অনেক কপি দেখেছেন কিন্তু এবারের নোটিশ টি সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের বলে মনে করছেন, এবার ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসার মতো নোটিশের বয়ান। এবিষয়ে বাঙালি সংগঠনের নেতাদের প্রতিবাদ কতটুকু কার্যকর হবে সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।