বিশেষ প্রতিবেদন ৭ ই মে শিলচর— কাছাড় জেলার জেলা শাসক মাননীয়া কীর্তি জলি মহাশয়া শহর অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ নির্মাণ করে এক অভিলেখ সৃষ্টি করেছেন, ফলস্বরূপ তাঁকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সম্প্রতি বরাক উপত্যকার বিভীষিকাময় বন্যা পরিস্থিতির সময় যে ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বন্যা পীড়িত মানুষ দের খোঁজ খবর নিয়েছেন তা রীতিমত জনপ্রতিনিধি দের টপকে গেছেন।
জেলা শাসকের কর্মতৎপরতা দেখে গ্রামীণ এলাকার মানুষ যারা কূড়ে ঘরে বাস করছেন অথচ তাদের নাম আর্থ সামাজিক এবং জাতিগত লোকগননা তালিকায় স্থান পেয়েছে কিন্তু বিগত ১০থেকে ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ পাচ্ছেন না তারা এই সংবাদ মাধ্যম যোগে জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এখানে উল্লেখ্য যে পঞ্চায়েত গুলিতে অনুষ্ঠিত গ্রাম সভায় এই তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ বিতরণ করার কথা রয়েছে, কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় প্রায় প্রতিটি পঞ্চায়েত গুলিতে সেই সব দরিদ্র মানুষের নাম সুপারিশ করা হয় না, বরং এমন ও উদাহরণ পরিলক্ষিত হয়েছে এক পরিবার প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ পাচ্ছেন তা ও একটি দুটি নয়, কিন্তু সবাই স্বচ্ছল পরিবারের হিতাধিকারি।
মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয় চাইছেন প্রকৃত হিতাধিকারি চয়নে কোনো ধরনের কারচুপি যেন না হয়, কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে তার উল্টো। তিনি সম্প্রতি যোরহাট জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বলেন ২০২৪ ইংরেজির মধ্যে নির্দ্ধারিত প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ নির্মাণ করা হবে। তাই বরাক উপত্যকার বঞ্চিত মানুষের দূর্দশা লাঘব করতে কাছাড় জেলার জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সংশ্লিষ্টরা।