নিজস্ব সংবাদদাতা কাঠিগড়া ১৬ ই মে—- এ যেন অমৃত সরোবরে পরিণত হলো শিলচর জয়ন্তীয়া সড়ক, দীর্ঘদিন ধরেই এই পর্যায়ে পড়ে আছে এই ব্যস্ততম সড়কটি,আর এই কদিনের ধারাসার বৃষ্টির ফলে সড়কের অস্বিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, রাস্তায় গর্ত না গর্তে রাস্তা তা অনুমান করা দায় হয়ে গেছে।আর এই নরক সদৃশ গর্তের মিছিলের ওপর দিয়ে চলাচল করছে পাথর বোঝাই লরী সহ গ্যাস পরিবহন কারী বুলেট গুলি।
বর্তমানে এই সড়কে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে গেছে,বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া দের। স্থানে স্থানে অমৃত সরোবর সদৃশ গর্তের পাশে এসে পথ চলতি গন থমকে যান বলে আজ পরিলক্ষিত হয়েছে। কোথায় সড়ক আর কোথায় গর্ত তা নিশ্চিত করতে পারছেন না, এদিকে কখন ভারী যানবাহন চলে আসবে তা নিয়ে রীতিমতো উৎকন্ঠিত কচিকাঁচা স্কুল পড়ুয়া। এখানে উল্লেখ্য যে এই সড়ক কামধেনু তে পরিণত হয়ে গেছে, জনৈক আর টি আই কর্মী বলেছেন প্রতি বছর এই সড়ক উন্নয়নের জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বরাদ্দ করা হয় কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। দুবছর আগে আসামের বর্তমান পঞ্চায়েত মন্ত্রী রণজিৎ কুমার দাস মহাশয় এই বিহাড়া বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দেন যে আপনাদের এই সড়ক আসাম মালার প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হবে। কথামতো এই এলাকার মানুষ বিজেপি দলের প্রার্থী গন কে উজার করে ভোট দিয়েছেন। বর্তমান এই নরক সদৃশ সড়কে চলাচল কারী জনগন কে বলতে শুনেছি আসাম মালা প্রকল্প কাদার মালাতে পরিণত হয়ে গেছে।
এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক পশ্চিম শিলচর এলাকার দুই সড়ক যথাক্রমে শিলচর নাথানপুর ও শিলচর জয়ন্তীয়া সড়ক দুই বিধানসভা বড়খলা ও কাঠিগড়া এলাকার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। শিলচর নাথানপুর সড়ক বর্তমানে চলাচলের উপযোগী হলেও শিলচর জয়ন্তীয়া সড়ক মেরামতির অভাবে ধূকছে , বর্তমান সরকারের আমলে এই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সরকারের পূর্ত বিভাগের কাছে লজ্জা জনক বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক গন। আজকের এই দৃশ্য দেখে সচেতন মহলের মন্তব্য,কাঠিগড়া বিধানসভা চক্রের গড়ের ভিতর গাঁও পঞ্চায়েত বিজেপি দলের আঁতুর ঘর হিসেবে পরিচিত হলেও এই এলাকার কর্মীরা কেন যে প্রতিবাদ করছেন না তা রীতিমত অবাক করার মতো ঘটনা। এদিকে বিরোধী দলের ও ভুমিকা নিম্ন মুখী,শাসক বিরোধী দলের নেতাকর্মী দের নীরবতার সুযোগে পূর্ত বিভাগ ও হাল ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে কাঠিগড়া ও বড়খলা বিধানসভা চক্রের বিধায়ক গন বিরোধী দলের বলে তাঁরা ও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।সবাই শুধু আনন্দ উপভোগ করছেন আর সাধারণ মানুষ এই নরক সদৃশ গর্তের মিছিলের ওপর দিয়ে চলাচল করছেন মনে হচ্ছে অভিভাবক মন্ত্রী অশোক সিঙ্গল মহাশয় এই সড়কের বিষয়ে অবহিত নন।
শেষমেষ আজ এই প্রতিবেদক কে স্থানীয় সুনাগরিক গন বলেন অবিলম্বে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এই সড়কের মেরামতির কাজ শুরু না করলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করতে পিছপা হবেন না,তাই কাছাড়ের জেলা শাসক মাননীয়া কীর্তি জলি মহাশয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।