লক্ষ্মীপুর থেকে অসীম রায়ের প্রতিবেদন ২৮ শে জুন — ভয়াবহ বন্যার কবলে সমগ্র বরাক উপত্যকা , প্রথম বারের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় বার বন্যার কবলে পড়ে শহর শিলচরের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই প্রলয়ঙ্করী বন্যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিগত দিনের সকল রেকর্ড ছাপিয়ে শহরের মানুষ বিভিষিকা ময় জীবন যাপন করছেন আজ দিন দশেক ধরে। সন্ধ্যা হতেই সমগ্র শহর অন্ধকারে ডুবে যায়। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে পানীয় জলের, মানুষ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছেন। যদিওবা সরকারের তরফে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন জলবন্দি মানুষ। অনেক জায়গায় যথারীতি ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বিভিন্ন কারণে।
শহর শিলচরের জলবন্দি মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে সমগ্র বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। সরকারের ত্রাণ সামগ্রীর অতিরিক্ত হিসেবে সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে।
এদিকে পার্শ্ব বর্তী মনিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রলয়ঙ্করী বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখে মানবিকতার কারণে আজ তিন ট্রাক খাদ্য সামগ্রী জিরি বাম জেলার জেলা শাসক কাছাড় জেলার জেলা শাসক মাননীয়া কীর্তি জলি মহাশয়ার হাতে তুলে দেন। এই সব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে আছে ১৩৫ বস্তা চাল, ডাল ৩০ কেজি ওজনের ১০২ ব্যাগ,লবন ৫০ কেজি ওজনের ১২০ব্যাগ এবং ১২০ বাক্স শস্য তেল।এইসব ত্রাণ সামগ্রীর ৩ টি ট্রাক আনুষ্ঠানিক ভাবে সমঝে নেন কাছাড়ের জেলা শাসক কীর্তি জলি মহাশয়া এই সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর মহকুমার মহকুমা প্রশাসক সুদীপ কুমার নাথ ও অন্যান্য আধিকারিক গণ। মনিপুর সরকারের এই ত্রাণ সামগ্রী আসায় অসহায় বানভাসী মানুষ উৎফুল্লিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।